মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৬-এর খসড়া অবিলম্বে বাতিল চেয়েছে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)। তারা পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘চক্রান্ত মূলকভাবে’ ইসলামি ভাবধারার গল্প, রচনা ও কবিতা বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে আবার তা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছে। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এ দাবি জানায়।
শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আবদুল জাব্বার এ ব্যাপারে সরকারের সুমতি ও ‘ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ডে আঘাত এলে বেফাক নীরব থাকবে না। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করা হলো। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বইয়ের লেখকদের অধিকাংশই হিন্দু বা ধর্মে অবিশ্বাসী নাস্তিক। বেফাকের দাবি, প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্যবইয়ে ১৯৩টি গদ্য ও পদ্য রয়েছে। এর লেখকদের মধ্যে ৮১ জন হিন্দু ও ৫৬ ধর্মে অবিশ্বাসী। সব মিলিয়ে হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের সংখ্যা ৭১ শতাংশ।
এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামকে আংশিকভাবে বাদ দিয়ে আংশিক হিন্দুত্ববাদ যুক্ত করার অপপ্রয়াস দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। বই-পুস্তকে এমন গল্প-কবিতা রাখা হয়েছে, যা শুধু ইসলামবিদ্বেষী নয়, ধর্মনিরপেক্ষতাবিরোধীও। জনগণ এ শিক্ষাব্যবস্থা সহ্য করবে না।’ সংবাদ সম্মেলনে বেফাকের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও বারিধারা মাদ্রাসার প্রধান নূর হোসাইন কাসেমী, মোহাম্মদপুরের জামিয়া আরাবিয়ার প্রধান মাহফুজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পড়েন মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম।