মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনায় রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে প্রধান আসামি সেন সুমন হোসেনকে গ্রেফতারের কথা অবশেষে স্বীকার করলো ৠাব। আর মাগুরার শ্রীপুর থেকে নজরুলকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। নজরুল ইসলামকে (৩৫) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা এলাকায় ঢাকাগামী একটি বাসে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আর প্রধান আসামি সেন সুমন হোসেনকে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সুমনের বাবার নাম শিবু সেন। মাগুরার কলকলিয়া পাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মেজর মাকসুদুল আলম শীর্ষ নিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি লুৎফুল কবির সাংবাদিকদের জানান, রোববার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল কল্যাণপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সেন সুমন হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি।
মাগুরা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলা ওয়াপদা এলাকায় ঢাকাগামী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নজরুল ওই মামলার ১৩ নম্বর আসামি। এর আগে সেন সুমন হোসেন ও সোবহান নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সেন সুমনকে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। আর তার গ্রেফতার খুবই দুঃখজনক। সুমন ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিল না বলে দাবি করেন। আর তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ মামালায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন তিনি ঢাকায় ছাত্রলীগের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই মাগুরার দোয়ারপাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা নিয়ে যুবলীগ নামধারী দু’টি পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের সময় সাড়ে সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূ নাজমা বেগম (৩০), তার চাচাশ্বশুর মমিন ভূঁইয়া (৬০) এবং মিরাজ (৩০) নামে অপর এক যুবক আহত হয়। এদের মধ্যে মমিন ঘটনার পর শনিবার ভোরে মারা যায়।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নাজমা বেগমকে ওই রাতেই অস্ত্রোপচারের পর একটি কন্যা শিশু ভুমিষ্ট হয়। পরে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বিশেষ ব্যবস্থায় মা ছাড়াই শিশুটিকে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার পর ৩০জুলাই মা নাজমা বেগমকে ঢাকায় শিশুটির কাছে পাঠানো হয়। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত মোমিন ভূইয়ার ছেলে রুবেল হোসেন গত ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সেন সুমন হোসেন, আজিবর, মোহম্মদ আলিসহ ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।