সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ্যে লঙ্ঘিত হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন ভূমিকা না থাকায় জনমনে ব্যাপক সমালোচনা-আলোচনার ঝড় বইছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন ইইনয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৩নং রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীক চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সৌম্য চৌধুরী (সমু)। তার পোস্টারের বাম পার্শ্বে শেখ মুজিবুর রহমান ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। একই পোস্টারের ডান পার্শ্বে রয়েছে দিরাই-শাল্লার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপির। যা সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ।
নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রচারিত ১০ ফেব্র“য়ারি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের “ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা”-এর ৮নং ধারার (৫)-এর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে যে, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত কাহারো নাম, ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে কিংবা ব্যবহার করিতে পারিবেন না ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোন রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে বা লিফলেটে ছাপাইতে পারিবেন।’
এ ব্যাপারে ৩নং রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সৌম্য চৌধুরী সমুর মোবাইল নাম্বারে বার বার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দিরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ার কারণে আমরা পরিদর্শনে বের হইনি। তাছাড়া নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ সবে মাত্র শেষ হয়েছে। শীঘ্রই আমরা মোবাইলকোর্ট পরিচালনায় বের হবো।