বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সোমবার জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি ভ্রমণের জন্য এক্সিকিউটিভ এয়ারক্রাফট কেনা হবে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই কেনা হবে।” একদিন আগেই হাঙ্গেরি সফরের সময় বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তুর্কমেনিস্তানে জরুরি অবতরণ করতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, সৌদিআরব, কাতারসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের মতো বাংলাদেশেও বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করার আলোচনা চলছে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিমানে যাত্রিক ত্রুটির ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আরেকটি কমিটি গঠনের কথা জানান মন্ত্রী। বিমানমন্ত্রী মেনন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বুদাপেস্টে পানি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে বুধবার প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
কমিটিতে ক্ষোভের মুখে বিমানমন্ত্রী:
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ত্রুটির কারণে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে। বৈঠকে অংশ নেওয়া এক সংসদ সদস্য বলেন, কমিটিতে সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, মন্ত্রণালয়ের সঠিককভাবে পর্যবেক্ষণ করলে একের পর এক ঘটনা ঘটত না। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গভীরভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। কারণ আমরা দেখেছি যে, কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরত আসার সময়ে রানওয়েতে ঘটনা ঘটেছিলো। “আমরা জানতে চেয়েছিলাম সেই ঘটনার যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তারা জানিয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে ধরনের ইরেসপনসিবল বিহেভিয়ার করা হয়েছে, তাতে আরও পানিশমেন্ট দেওয়া উচিৎ ছিল।”
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ত্রুটি সম্পর্কে তথ্য নেওয়ার জন্য উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং এবং এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই)-এর কাছ থেকে তথ্য নিতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, “ত্রুটির ব্যাপারে বোয়িং এবং জিইর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যেন তাদের কাছ থেকেও আমরা একটা রিপোর্ট পাই। “আপনারা জানেন যে, এই প্লেনগুলি খুবই অত্যাধুনিক। এর যে ফ্লাইট রেকর্ডার এর মাধ্যমে বাংলাদেশ যেমন রিপোর্ট পাচ্ছে একইভাবে জিই ও বোয়িংয়ের কাছেও যাচ্ছে। আমরা বলেছি তাদের কাছ থেকে ডাটা কালেক্ট কর। এর পরে সম্পূর্ণ ডাটা বিশ্লেষণ করে বের করা হবে ওই ঘটনা কেন, কীভাবে হয়েছিল। বিশেষভাবে কেউ দায়ী কি না?”
মন্ত্রণালয়, বিমান, ও বেবিচকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর প্রয়োজন হলে সংসদীয় কমিটিও ঘটনাটি তদন্ত করবে বলে জানান ফারুক খান। তদন্ত কমিটিগুলোর প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিকে দিতেও বলা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।