বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
দীর্ঘদিনের গ্রাম্য বিরোধ নিষ্পত্তির প্রচেষ্টার ফলে অবশেষে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সালিশের মাধ্যমেই আলোর মুখ দেখতে পেল সংঘর্ষে জড়িত দু’পক্ষের লোকজনই। আর এ প্রচেষ্টার মূলে কাজ করেছেন বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব আবুল হোসেন শরীফ।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য আদিপত্য বিস্তার, জায়গা-জমি সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমার জেরে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন গুরুতরভাবে আহত হয়। স্থানীয় দিরাই থানায় এ নিয়ে মামলা দায়ের কর হয়।
সম্প্রতি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব আবুল হোসেন শরীফ উদ্যোগ নিলে সালিশে নিষ্পত্তিতে রাজি হন উভয়পক্ষের লোকজন। গত ২ জানুয়ারি ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব রাড়ইল গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর সালিশবৃন্দের সিদ্ধান্ত উভয়পক্ষই মেনে নিতে রাজি হন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয়পক্ষের দায়েরকৃত মামলা নিজ নিজ খরচে ও দায়িত্বে প্রত্যাহার করা, প্রথমপক্ষের মোট ২০ শতাংশ বোরো রকম ভ‚মি দ্বিতীয়পক্ষের অনুক‚লে রেজিস্ট্রি করে দিবেন এবং ভ‚মির মূল্য বাবত এক লক্ষ টাকা দ্বিতীয়পক্ষ প্রথমপক্ষের অনুক‚লে পরিশোধ করবেন। কিন্তু প্রথমপক্ষের আব্দুল হালিম মূল্য ছাড়া ভ‚মি দান সূত্রে দ্বিতীয়পক্ষের অনুক‚লে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিবেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন। উভয়পক্ষের দায়েরকৃত মামলা দ্রæত প্রত্যাহার করে মিলেমিশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে বসবাস করবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব জগদল গ্রামের মোখলেছু রহমান, হুমায়ুন রশিদ লাভলু, রাজনগর গ্রামের আতাউর রহমান, সাঞ্জব আলী, আবুল হোসেন শরীফ ও পিতাম্বরপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে গতকাল নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, সর্বশেষ দিরাই থানার পক্ষ থেকে আদালতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার পরই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে।