বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের উপনির্বাচনের পর বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ প্রায় অর্ধশত আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামবাসি ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জটিচর গ্রামের দীর্ঘদিন ধরে একটি পতিত জমি নিয়ে গ্রামের সিরাজুল হক ও আজাদ মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আজাদ মিয়া জমিটি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করলেও সিরাজুল হকও একই জমির মালিকানা দাবি করছেন। তবে সদ্য সমাপ্ত সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকার বিজয় মিছিল বের হলে সিংহ প্রতীকের সমর্থিত সিরাজুল হকের লোকজন বাঁধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এরই জের ধরে শুক্রবার সকাল ৮টায় আবারো উভয়পক্ষ ইউনিয়নের জটিচর গ্রামের পশ্চিমের মাঠে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন সফিক উদ্দিনের ছেলে রবিউল হক (২০), শরিফ উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩২), খয়াজুল ইসলাম (২৪) ও শরিফুল ইসলাম (৩৫), আয়েদ আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (২০), সামছু উল্লাহর ছেলে নূরুল হক (৪০), ওয়াদিন উদ্দিনের ছেলে সাজাদ মিয়া (৩৫), আরবাছ আলীর ছেলে ওয়াহেদ আলী (৫০), এরশাদ উল্লাহর ছেলে শাহআলম (২৫), আব্দুছ ছত্তারের ছেলে জিলা মিয়া (৪০), আব্দুল আউয়ালের ছেলে আখলেছ মিয়া (৩০), রহিম উদ্দিনের ছেলে আজাদ মিয়া (৪০), রফিক উল্লাহর ছেলে সিরাজুল হক (৫০), আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল হেকিম (৪৫), মৃত আলাবুরের ছেলে তেজাব আলী (৬০)। এরমধ্যে গুরুতর আহত শরিফুল ইসলাম, খয়াজুল ইসলাম, শাহআলম ও আব্দুল হেকিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নৌকা প্রতীকের বিজয় মিছিল বের করা নিয়ে উপজেলার দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাচনী চণ্ডিপুরে শুক্রবার ১০টায় যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে এক সংঘর্ষ হয়। মৃত আলম উল্লাহর ছেলে আব্দুল খালেক (৬৫) অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জালাল মিয়া, মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে সাবির মিয়া, তার ছেলে সায়েক মিয়া, আব্দুল হামিদের ছেলে ডাঃ সেলিম আহমদ, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নূরুদ্দিনের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে। এতে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ নারী ও শিশুদের ওপর আক্রমণ করে লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন আব্দুল খালেকের ছেলে মোশাররফ মিয়া (২২) ও হোসাইন মিয়া (২৩), আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী পারভীন আক্তার (২৮), গোলাপ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৫), ওয়াহিদ আলীর ছেলে মোরসালিন মিয়া (১৮), ইব্রাহিম আলীর ছেলে কবির মিয়া (৩০), সুরুজ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫), শাহজাহান মিয়ার মেয়ে মনিকা বেগম (১০), ছেলে ওয়াজিত মিয়া (১৩), ইসমাঈল আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৩২) ও আব্দুর রইছের ছেলে এমদাদুল হক (৬০)। গুরুতর আহত মোশাররফ মিয়া, হোসাইন মিয়া ও মোরসালিন মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর পরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে, তবে মামলা দিতে এখনও কেউ আসেনি।