শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জোরপূর্বক বিয়ের ব্যবস্থা করায় এবং স্থানীয় মাতাব্বরদের দ্বারা অপমানিত হওয়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের দুলালের ভিটা গ্রামে আমিনা আক্তার নামে নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের আব্দুর রউফের মেয়ে। নবম শ্রেণীর ছাত্রী আমিনা আক্তারের মৃত্যুর সংবাদ শুনে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ তার সহপাঠীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমিনার মা শিল্পী বেগম ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, আমিনা গাইবান্ধা শহরে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রায় প্রতিদিনই শহরের কুঠিপাড়ার রায়হান নামের এক যুবক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। গত ৭ আগস্ট শুক্রবার কোচিংয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় রায়হান আমিনাকে জোরপুর্বক একই ইউনিয়নের গড়েরবাতা নামক স্থানে তুলে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিকেলে আমিনার পরিবারের সদস্যরা রায়হান ও আমিনাকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই দিনরাতে রায়হানের পরিবারের লোকজন শহরের প্রভাবশালী মাতব্বরদের সহযোগীতায় রায়হানকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমিনাদের বাড়িতে এসে শালিশ বৈঠকে বসে। আমিনার মা শিল্পী বেগম বলেন, বৈঠকে মাতব্বররা আমিনার সঙ্গে রায়হানের বিয়ের দেওয়ার জন্য আমার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ দেয়। তিনি আরও বলেন, মাতাব্বররা আজ রোববার ১৬ আগস্ট সন্ধ্যার পর রায়হানের সঙ্গে আমার মেয়ে আমিনার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিয়ের দিনতারিখ ঠিকঠাক করে ওই দিন রাতে রায়হানকে নিয়ে যায় মাতাব্বররা। ওই ঘটনায় অপমানিত বোধ করে আমিনা একটি চিঠি লিখে আত্মহত্যা করে বলে আমিনার মা শিল্পী বেগম জানান। এদিকে আমিনার লেখা চিঠিটি স্থানীয় মাতাব্বরদের চাপে তার চাচা শহিদুল গোপন করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে গাইবান্ধা সদর থানার এস. আই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে আমিনার মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে ময়না তদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। আমিনার লাশ এলাকায় নিয়ে আসা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সঙ্গে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে গাইবান্ধা থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।