রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে নতুন জীবনের সন্ধান পাওয়া যায় আর সেই জীবনকে আরো প্রাণবন্ত সতেজ করতে হলে সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। এজন্যই সাংবাদিকদের জাতির বিবেক আর সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল, সে হিসেবে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা ও প্রভাব বেশি। এতে ভাল-মন্দ উভয়টাই বিদ্যমান। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, তাই বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার জন্য যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। চেষ্টা ও সাধনা অব্যাহত রেখে প্রশিক্ষকণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মরা পরিবর্তন ও উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব। আলোচকগন ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যম কর্মীদের আরো দক্ষকরে গড়ে তোলতে সরকারকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সাহিত্য-সাংবাদিকতায় তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকার পাশাপাশি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেয়া উচিত।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ-এর সাহিত্য আসরকক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপি সাহিত্য-সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট রিপোর্ট ডটকম-এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন যথাক্রমে দৈনিক প্রথমআলোর ধর্মীয় বিভাগের উপ-সম্পাদক শাঈখ মুহাম্মদ উছমান গণী, জালালাবাদ লেখক ফোরামের সভাপতি শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের সহ-সভাপতি সেলিম আউয়াল, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজ, লেখক শামসীর হারুনুর রশীদ।
সিলেট রিপোর্ট সম্পাদক মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরীর সভাপতিত্বে ও স্টাফ রিপোর্টার শাহিদ হাতিমী, সৈয়দ উবায়দুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় দিনব্যাপি কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রত্যয়নপত্র (সনদ) বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মদন মোহন কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল (অব) এম আতাউর রহমান পীর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাপ্তাহিক গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার সংবাদ সম্পাদক এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ, দৈনিক সিলেটের ডাকের সাহিত্য সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, সাংবাদিক-লেখক সাইদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর বাবর, প্রিন্সিপাল সৈয়দ সালিম কাসেমী। অনুভূতি পেশ করেন ধীরেন্দ্র চন্দ্র নাথ, মিলটন কান্তি দাশ, তাজুল ইসলাম, লবিদ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ শাব্বির আহমদ রাজি, আসাদ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল ইমরান চৌধুরী, তোফায়েল আহমদ, কায়সান মাহমুদ আকবরী, আলাউদ্দীন পাশা, সাখাওয়াত শিকদার, জান্নাতুল ফেরদৌসি খুশী, আনজিনা রুমী, দেলওয়ার হোসাইন ইমরান, উবায়দুল্লাহ, মহিউদ্দীন খালেদ, হাসান বিন ফাহিম, এসবি সেবু, আ ম আবু বকর, নাজমুল হক চৌধুরী প্রমুখ। কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ৭১ জন সংবাদকর্মী ও সাহিত্যানুরাগী অংশগ্রহণ করেন।