রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও ঘনীভূত হয়ে আজ সন্ধ্যায় প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলভাগের দিকে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসহ এই অঞ্চলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে। মংলা ও পায়রা বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে। ‘মোরা’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল নাগাদ। এর আগাম প্রভাবে সমগ্র উপকূলে থমথমে গুমোট আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে। মাঝেমধ্যে বয়ে যাচ্ছে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া। কোথাও কোথাও হচ্ছে গুঁড়ি বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চর, উপকূল, দ্বীপাঞ্চলে ৪-৬ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ইতোমধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ চর, উপকূল, দ্বীপাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু জায়গায় নিরাপদ স্থানে ছুটে গেছে। সর্বত্র বিরাজ করছে দুর্যোগের আতঙ্ক। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসন জরুরী কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঘূর্ণিঝড়জনিত সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
এদিকে গত সন্ধ্যায় আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে জানা গেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে একই এলাকায় (১৮.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৩ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছিল। এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিমি দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬২ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।