সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বৃহস্পতিবার রাতে ৭ বছরের এক স্কুল ছাত্রের প্রাণ কেড়ে নিল বেপরোয়া অটোরিক্সা চালক। নিহতের নাম সাইজ উদ্দিন। সে উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মাণিগাঁও গ্রামের ছাবির উদ্দিনের ছেলে ও মাণিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। জানা গেছে, উপজেলার মাণিগাঁও গ্রামের ছাবির মিয়ার শিশু সন্তান সাইজ উদ্দিন বৃহস্পতিবার ইফতারির পর বাড়ির সামনে সড়কের পশ্চিমপার্শে^ সহপাঠিদের নিয়ে খেলাধুলা করার সময় উত্তরদিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা বাদাঘাটগামি একটি ব্যাটারি চালিত যাত্রীবাহি অটোরিক্সা তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সাইজ উদ্দিনের মাথার দু’পাশ থেতলে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় চালক উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া বেপরোয়া গতিতে যাত্রীবাহি অটোরিক্সাটি চালিয়ে বাদাঘাট বাজারে যাবার পথে সড়কের পশ্চিমপাশের্^ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সাইজ উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন শিশুকে চাপা দিয়ে অটোরিক্সা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে। অটোরিক্সায় থাকা যাত্রীরাও অবস্থা বেগতিক দেখে অটোরিক্সা থেকে নেমে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অটোরিক্সাটি জব্দ করে রাত সাড়ে ১২টায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ঘাতক চালকের পরিবারের লোকজন পুরো ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে ঘটনার পর থেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অনেকটা আর্থিক প্রলোভনের মুখে নিহতের পিতা ও থানা পুলিশকে বশে আনার কৌশলও অব্যাহত রেখেছেন।
নিহত সাইজ উদ্দিনের পিতা ছাবির মিয়া বলেন, বাবা আমার ছেলে মারা গেছে তাকে তো আর ফিরে পাবনা, তাই সবাই বলছে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে মিটমাট করে ফেলতে, আমি গরীব মানুষ থানা পুলিশের নিকট চালকের নামে অভিযোগ করেই বা কী করব?
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই অজয় চন্দ্র দাস জানান, ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসাবে অটোরিক্সাটি জব্দ করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে, যতদূর জানতে পেরেছি অটোর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই বা চালকের কোন প্রকার লাইসেন্স নেই, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ জেলা সদর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর বলেন, এ ব্যাপারে নিহতের পিতা ছাবির মিয়া অজ্ঞাতনামা চালককে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলেও যেহেতু অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে পুলিশ ঘাতক চালককে শীঘ্রই শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার সব রকম পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।