রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
চান মিয়া, বিশেষ সংবাদদাতা (সুনামগঞ্জ): ছাতকে এক ভূমিহীন পরিবারের ভিটেবাড়ি জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক প্রভাবশালী, ফলে পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। জানা যায়, ছাতক পৌরসভার কুমনা (ভাজনা মহল) গ্রামের বাসিন্দা মৃত মছলন্দর আলীর পুত্র ভূমিহীন গোলাম কুদ্দুছের স্ত্রী মৃত সমিনারা বেগম স্থানীয় শ্যামপাড়া গ্রামের গোপেন্দ্র শ্যামের পুত্র গঙ্গেশ শ্যাম, গনেশ রঞ্জন শ্যাম ও নিখিল রঞ্জন শ্যামের কাছ থেকে ১৯৯৯ সালে ২১৫ জেএলস্থিত কুমনা মৌজার (এসএ) ৭৪৭ দাগের ৬ শতক ভূমি ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর সমিনারা বেগম ২০০৭ সালে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবরে খাজনা পরিশোধের আবেদন করলে ২০০৮ সালে সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে ১৪১৪ বাংলা পর্যন্ত ১১ বছরের ১৩শ’ ৬১ টাকা খাজনা পরিশোধ করেন। এখনো তার পরিবারের লোকজন উক্ত ভূমির উপর বসবাস করছেন। সুমিনারার মৃত্যুর পর স্থানীয় বাশখালা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সাবেক মেম্বার আব্দুস ছাত্তার পার্শ্ববর্তী ৭৫২ দাগে সাড়ে ৭ শতক ভূমি ক্রয় করেন। এরই সুবাদে ভূমিহীন গোলাম কুদ্দুছের বসতভিটে এনিমির ৬ শতক ভূমি জবর-দখলের জন্যে পেশিশক্তির ব্যবহারসহ তাদেরকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে অপতৎপরতা শুরু করেন। এনিয়ে কয়েক দফা সালিসে গোলাম কুদ্দুছ উক্ত ভূমির প্রকৃত মালিক বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ ছাত্তার কৌশলে সালিসের রায় এড়িয়ে গিয়ে তাদের বাড়ির পানির পথবন্ধসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। সালিসে উপস্থিত ছিলেন আজিজুর রহমান, জহুর আলী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও জুবেদ আলী, মুক্তার আলী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া, সমছু মিয়া ও ফারুক মিয়া, সামছ উদ্দিন মিয়া, মকবুল আলী বার্নার, সাবেক মেম্বার আলকাছ আলী ও তফজ্জুল আলীসহ গণ্যমান্য লোকজন। এছাড়া ছাতক ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাস সরেজমিনে গিয়ে উক্ত ভূমির উপর গোলাম কুদ্দুছ দীর্ঘদিনের বসবাসের সত্যতার উপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। যার ডকেট নং-২৪২৯, তাং-২৩.১১.২০১৬ ইং। এছাড়া জবর-দখলদার আব্দুস ছাত্তার ও সহোদর আব্দুর রশিদ ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের আলমাছ আলী, সুরুজ ও আলাল, শ্যামপাড়ার বিশু মেস্তরী ও বাগবাড়ি গ্রামের ফজলু মিয়া চৌধুরী, পেপারমিলের সিবিএ নেতা আনোয়ার হোসেনের ভূমি জবর-দখল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আব্দুস ছাত্তার অভিযোগ অস্বীকার করে জবর-দখলের সাথে তিনি জড়িত নয় বলে জানান।