শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নস্থ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠাখালী, অচিন্তপুর ও চানপুর গ্রামের কর্মসৃজন কর্মসূচীর রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শতভাগ সমপন্ন হয়েছে।
পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের কাজের ওর্য়াক অর্ডার দেওয়া হয়। ওর্য়াক অর্ডারের নির্ধারিত সময়ের আগেই রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সমপন্ন হয়েছে। সরকারের বরাদ্দকৃত কর্মসৃজন কর্মসূচীর আওতায় বৈঠাখালী এলজিইডির রাস্তা হতে হেলাল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত।
হেলাল মিয়ার বাড়ি হতে জয়নাল আবেদীনের বাড়ি এবং লাল মিয়ার বাড়ি হতে চানপুর, রাজারগাঁও মোড়া হতে চাঁনপুরের রাস্তা পর্যন্ত মাটি ভরাট প্রায় ৪৪ শত ঘনফুট। ৪নং ওয়ার্ডের ৫৫ জন শ্রমিক কর্মসূচীতে কাজ করেন। সময় মত মাটি ও শ্রমিক পাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ। ঘন ঘন ভারি বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাজ সম্পন্ন করতে সরকারের বরাদ্দকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি প্রবীণ মুরব্বী আব্দুল মালিক জানান, এই রাস্তাটি হওয়ায় আমাদের স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েরা সহজেই পাঠদানে যেতে পারছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পরিমান কাদা লেগে থাকতো। বর্তমানে রাস্তা দিয়ে লেগুনা, সিএনজি, অটো-রিক্স্রা চলছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মো মহিম মিয়া জানান, আমার ওয়ার্ডে এই রাস্তাটি হওয়ায় গ্রামবাসীর অনেক উপকার হয়েছে। গ্রামের লোকজনের সুবির্ধাতে রাস্তাটি পাকা করণের জন্য সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহোদয়ের কাছে বলেছিলাম। টেন্ডার হয়ে গেছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা পাকা হয়ে যাবে। প্রয়োজন হলে ভবিষতে ব্রীজ, কালভার্ট ও রাস্তার জন্য এলাকাবাসীর সমর্থনে মন্ত্রীর কাছে যাব। আমি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ সমপন্ন করেছি। ইউএনও সার আমার প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া জানান, কর্মসৃজন কর্মসুচী প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এলজিইডি তাদের অর্থায়নে সম্পূর্ণ রাস্তা পাকা করে দেবেন। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন হাটু পরিমান কাদা লেগে থাকে। তাই পাকা হয়ে গেলে জনসাধারণের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দুর হবে। বৈঠাখালী ও অচিন্তপুর গ্রামের লোকজনের অনেক উপকার হয়েছে।