মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

খাস জমি বাগিয়ে নেয়ার পর লাশ দাফনেও বাধা!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কবরস্থানে লাশ দাফনে ও শশ্মানঘাট-কালী মন্দিরে শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে সম্প্রতি এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বানিয়াগাঁও গ্রামের আবদুর রশীদ ওরফে কাচা মিয়া তথ্য গোপন করে শ্রীপুর ভুমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ভুমিহীন সেজে ১৯৮৮-৮৯ সালে বানিয়াগাঁও মৌজার ১নং সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত, জেলএল নং-৫৮ ও ১৩নং দাগে থাকা কয়েক লাখ টাকা মূল্যের ১ একর ৩৯ শতক খাস জমি বাগিয়ে নেন।
একই দাগের একই খতিয়ানে কবরস্থান ও শশ্মানঘাট-কালী মন্দিরের জায়গা ক্রমান্বয়ে দখলে নিতে তারই সহোদর বজলু রশীদকে ফের ভুয়া ভূমিহীন সাজিয়ে সম্প্রতি আরও ২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত পেতে তোরজোড় শুরু করেন।
এলাকাবাসী জানান, ২০০৯ সালে রশীদ কয়েক লাখ টাকার ফসলি জমি বিক্রয় করেন দুধের আউডার শফিকুলের কাছে। বানিয়াগাঁও গ্রামে নিজের পৈতৃক বসতবাড়ি, বানিয়াগাঁও মৌজায় ফসলি জমি ছাড়াও পরিবারের লোকজন কয়েকমাস আগে স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ীর কাছ ৫ থেকে ৬ কেয়ার ( ৩০ শতাংশ ১ কেয়ার) জমি বিক্রি করেছেন। আবদুর রশীদ যে ভুমিহীন নন তারও প্রমাণ প্রশাসনের কাছে অভিযোগে এভাবেই তুলে ধরেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার দুধের আউডাসহ ১২ গ্রামের মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন গত দু’যুগেরও বেশি সময় ধরে একাংশে মুসলামানদের কবরস্থান এবং অপরাংশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করে আসছেন।
পরবর্তীতে ওই মৌজায় একই দাগে এলাকার মুসলামানদের কবরস্থান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্মানঘাট-কালিমন্দির স্থাপনের জন্য ৮ একর ৪৫ শতক খাস জমি সরকারিভাবে বন্দোবস্ত দেয়া হয়।
উপজেলার দুধের আউডা সার্বজনীন শশ্মানঘাট কালী মন্দিরের সভাপতি নিধান পালের অভিযোগ, রশীদ ও তার ভাই বজলু এ জায়গা দখলে নিতে যে অপতৎপরতা চালিয়েছিল। এ কারণে চলতি বছরের ২৭ মে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
উপজেলার দুধের আউডা গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আসাদ আলী জানান, ওই দু’সহোদর কৌশলে কবরের চিহ্ন মুছে ফেলে ক্রমশ ফসলি জমি তৈরি করছেন।
উপজেলার বানিয়াগাঁও গ্রামের আবদুর রশীদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বা আমার পরিবারের লোকজন কোনদিন কবর দিতে কিংবা শেষকৃত্যানুষ্ঠানে কাউকে বাধা দেইনি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুর্ণেন্দু দেব অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com