সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী গ্রামের মদনপুর-দিরাই রাস্তার জয়কুমার দাসের বাড়ি হতে ডাক্তার রমেশ বাবুর বাড়ি হয়ে সুরমা নদীর পাড় পর্যন্ত কর্মসৃজন কাজের টাকা আত্মসাত ও অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগের আলোকে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাস্তাটি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সফি উল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, রাস্তার মাটি ভরাটের কাজে অনিয়মের বিষয়ে গত ২২ অক্টোবর ২০১৭ ইং তারিখে নোয়াখালী গ্রামের মহেশ্বর রায়ের ছেলে মনোজ রায়গং বাদি হয়ে সিলেট বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর জয়কলস ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার চুনু রঞ্জন (বট)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় নোয়াখালী গ্রামের মদনপুর দিরাই রাস্থা হতে ডাক্তার রমেশ বাবুর বাড়ি হয়ে সুরমা নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্তাটি মাটি ভরাটের জন্য ২০১৬ সালের কর্মসৃজনে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পেয়ে মাটি ৯০% ভরাট না করেও কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে জাল সাক্ষরে করে টাকা আত্মসাৎ করেন ইউপি সদস্য চুনু রঞ্জন (বট)।
এ বিষয়ে নোয়াখালী গ্রামের তফজ্জুল হোসেন, নূর আলী, শের আলী ও ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমান বলেন, ৪ বছর আগে রাস্থার মাটি ভরাটের কাজ আসলে ইউপি সদস্য বট সঠিকভাবেই কাজ করেছেন। রাস্তার কাজে অনিয়ম হয়নি। একই গ্রামের নিবির দাস, মজু দাস ও জনি দাস বলেন, মাটি ভরাটের কাজ নামমাত্র করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সঠিকভাবে রাস্তার কাজ না হওয়ায় আমরা নিজ উদ্যোগে কিছু জায়গায় মাটি ভরাট করেছি।
ইউপি সদস্য চুনু রঞ্জন (বট) বলেন, আমি বিগত ২০১৬ সালে বরাদ্ধ পেয়ে রাস্থার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছি এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা সঠিভাবে তদারকি করেই আমাকে বিল প্রদান করেছেন। এখন ৪ বছর পর আমার নামে অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সফি উল্লাহ বলেন, দুদকে করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাস্তাটি সরেজমিনে তদন্ত করেছি, তবে রিপোর্ট পড়ে দেয়া হবে।