বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১

নিরীহ পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকম:

অসহায় নিরীহ পরিবারের উপর হামলার চালিয়ে মহিলাসহ কয়েকজনকে আহত করে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের মামলার প্রধান আসামী সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সেই বিতর্কিত পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক পালিয়ে থেকে নিজেকে মামলা থেকে রক্ষা করতে ও নিরীহ পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে মানবন্ধন ও থানা পুলিশে চাঁপ সৃষ্টিসহ নানা ফন্দি আঁটছে নিরীহ একটি পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে।
সম্প্রতি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের এক নিরীহ পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আহত করে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক মিয়া ও তার ভাই, বাতিজাসহ তার ১০-১৫ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী। এর প্রতিবাদে বিচার প্রত্যাশী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোসহ নানাভাবে নিজেকে বাচাঁতে এলাকা ছেড়ে গোপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়,উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাদারগড় গ্রামের শাহ আলমের বাড়ির সামনে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাকের ভাই ও বাতিজাকে আতশবাজি ফোটাতে নিষেধ করার তার কিছুক্ষণ পরেই বালিয়াঘাট (বাদারঘড়) গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক মিয়া (৩৫), নুরু মিয়া (৪২), কদ্দুস মিয়া (৩৭), শহিদ মিয়া (৩৯), নুরু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৫), সোহাগ মিয়া (২১), শহিদ মিয়ার ছেলে আলামিন (২০) ও শান্ত মিয়া (১৮) একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ৫ জনকে আহত করে ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনা মামলা দায়েরের পর নড়েছড়ে বসে পল্লী চিকিৎসক রাজ্জাক। চেষ্টা চালায় পুলিশ প্রশাসনের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে কিন্তু কোন কাজ না হওয়ার পর এখন মানববন্ধনসহ উল্টো ফাঁসাতে তৎপর হয়ে উঠেছে । এছাড়াও রাজ্জাক পল্লী চিকিৎসার আড়ালে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করে নিরীহ মানুষকে দীর্ঘদিন ধরেই কাউকে মাদক ব্যবসায়ী আবার কখনও চোরাচালানসহ নানাভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করে হয়রানী করে আসছে। এরপরও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাকের চোরাচালান ও তার সোর্স কালাম, আব্দুল আলী ভান্ডারীসহ আরো ৮-১০ জন সোর্সকে নিয়া সাংবাদিক পরিচয়দারী রাজ্জাক চোরাচালান, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা করাসহ পুলিশ, বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগাইয়া চাঁদাবাজি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে রাজ্জাক। দুদক থেকে তদন্ত করলে সব প্রমান মিলবে। তার চাঁদাবাজির অত্যাচারে সবাই অতিষ্ট। রাজ্জাকের সোর্স কালাম মিয়া ইয়াবাসহ ধরা পড়ে জেলে যাওয়ার পড় তার সহযোগী লোকজনকে নিয়ে অবৈধ টাকা দিয়া সব দামাচাপা দিতে চাইছে। আর চোরাই কয়লা ভর্তি নৌকাসহ বিজিবি, রাজ্জাকের ভাই আব্দুল কদ্দুসকে গ্রেফতার করার পর বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুল কুদ্দুসসহ তার আরও ৪ ভাইকে আসামী করে ১৯৭৪ ইং সানের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি ধারায় তাহিরপুর থানায় মামলা নং-৯, তারিখ-১৯/০৯/২০০৭ ইং (জিআর-১৫৮/২০০৭) দায়ের করেন। পরে তাহিরপুর থানার এসএই নারায়ন তদন্ত করে মামলাটি বিশেষ টাইব্যুনাল মামলা নং-৬/২০০৮ ইং হিসেবে আদালতে পাঠায় ।
এছাড়া নাজমা বেগম নামের এক মহিলাকে নির্যাতন ও তার কাছে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় রাজ্জাকের নামে আদালতে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৪৪৮/৩৮৫/৩৮০/৪২০/৪২৭/৩২৩/৩৫৪/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।এছাড়াও রাজ্জাকের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলাও রয়েছে।
তাহিরপুর থানার (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, মামলার আসামী ও হামলাকারীরা নিরীহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে গুজব রটিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে, এমনকি চতুর রাজ্জাক নিজেকে ও মামলার অন্য আসামীদের রক্ষায় নানামুখী অপতৎপরতার পাশাপাশী কাউন্টার মামলা নিতে থানা পুলিশের উপর চাঁপ সৃষ্টি করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com