কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরের দিকে রওনা দিয়েছে ১১টি বাস। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নেয়াখালীর ভাষানচরের দিকে রওনা হন তারা। জানা যায়, কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে র্যাব-৭ ও র্যাব-১৫।
এদিকে, কক্সবাজারের শিবির থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর অবিলম্বে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানায়। দুটি সংগঠনই তাদের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর বিষয়ে সরকার যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক এমন সময়ে বুধবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক দপ্তর একটি বিবৃতি দিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় তাদের যুক্ত করা হয়নি। রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যও নেই। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন প্রাসঙ্গিক, নির্ভুল এবং হালনাগাদ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে বিষয়ে জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরে এখন বসবাস করছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা।