সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : ভাটিবাংলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সুনামগঞ্জ জেলাকে রেল যোগাযোগাযোগের আওতায় আনার দাবীতে শনিবার এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ তথা হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে উক্ত দাবীর প্রতি সমর্থন জানান। উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জনাব বুরহান উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, এড. সুব্রত দাস খোকন, মোকাম্মেল হোসেন মেনন, এড. সুজা আল ফারুক, এড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ক্ষিরোদ রায়, আলমগীর শাহরিয়ার , সাবেক উপ সচিব রইস উদ্দিন, লোকেশ রঞ্জন প্রমুখ । মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন হাওরের রাজধানী বলে খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার পাথর, মাছ, ধান সারা বাংলার প্রাণ। সুনামগঞ্জ জেলা হাওর বেষ্টিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত করুন। জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে মাত্র ৫টি উপজেলার সাথে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ আছে। বাকী উপজেলাগুলির কোন প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থাই নেই। সেখানের মানুষের মাঝে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে ‘শুকনায় পাও বর্ষায় নাও’। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবকটি জেলা থেকে সুনামগঞ্জ এখনও পশ্চাতপদ। সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে সিলেট হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে হলে একটিমাত্র সড়ক পথের উপর নির্ভর করতে হয়। একটিমাত্র সড়ক পথের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটায়। কোন কারনে এই একটিমাত্র সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেলে অন্য কোন বিকল্প পথ নেই যা দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে যাতায়াত করা যায়। মাত্র ৪৬ কি.মি. রেলপথ তৈরীর মাধ্যমেই সুনামগঞ্জ জেলাকে রেলপথের আওতায় আনা সম্ভব। কারণ সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত রেলপথ আছে। এই ৪৬ কি.মি. রেলপথ বাস্থবায়নের মাধ্যমে হাওরে বসবাসরত কোটি মানুষের জীবনমানের ইতিবাচক উন্নয়ন সম্ভব। হাওরের মানুষের জীবনে প্রাণের সঞ্চার করতে পারে এই রেলপথ। বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো ২০১১ সালে ৫ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রনালয় যাত্রা শুরু করে। এবং মন্ত্রনালয়ের প্রথম রেলপথ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় সুনামগঞ্জের সন্তান বর্ষীয়াণ রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট পার্লামেন্টরিয়ান বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। সুনামগঞ্জের সন্তান হওয়ার কারণে তিনি সুনামগঞ্জের সমস্যা ও সম্ভাবনা খুব ভালভাবে ওয়াকিবহাল। তাই তিনি দায়িত্ব নিয়েই সুনামগঞ্জের এক বিশাল জনসভায় সুনামগঞ্জের গণমানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে ছাতক সুনামগঞ্জ রেলপথ বাস্তবায়ন এবং মোহনগঞ্জ হতে ধর্মপাশা রেলপথ বর্ধিত করণের ঘোষণা দেন। এবং তৎক্ষণাত সুনামগঞ্জ শহরে রেলের টিকেট কাউন্টার স্থাপন করেন। উন্নয়ন বঞ্চিত সুনামগঞ্জের মানুষের মনে প্রাণে এক নতুন দিনের উন্নত ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার আকাঙ্খা জন্ম নেয়। এবং এই রেলপথ সুনামগঞ্জ তথা ভাটি এলাকার মানুষের অধিকারের মধ্যেও পড়ে। মানববন্ধন থেকে মহামান্য সরকারের প্রতি নিম্নোক্ত দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয়।
দাবিগুলো হল-ছাতক সুনামগঞ্জ রেলপথ বাস্তবায়ন করা হোক, মোহনগঞ্জ হতে ধর্মপাশা রেলপথ বর্ধিত করা হোক।