শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় কাবিটা দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি প্রকল্পে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই প্রকল্পের অধীনে কাঁচা রাস্থা ও মাটি ভরাট কাজ করার কিছু দিনের মধ্যেই সামান্য বৃষ্টিপাতে আগের অবস্থায় ফিরে এসে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। প্রকল্প সভাপতির বিরুদ্ধে দায়সারা কাজ করে বরাদ্দের সমুদয় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এই অনিয়মের বিষয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা সিলেট মঞ্চ নাগরিক সেবা পরিষদের বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি রিনা তালুকদার। অভিযোগসূত্রে জানা যায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ডের টংগর গ্রামের দুদু মিয়ার বাড়ী হইতে আবুসৈয়দ মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য ফুলকাছ মিয়া ওয়ার্ক অর্ডার না মেনে নানা অনিয়মের মাধ্যমে সামান্য কাজ করিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া রিনা তালুকদার জানান, ইউপি সদস্য ফুলকাছ মিয়াকে বারবার কাজটি সঠিকভাবে করার কথা বলেও কোন সদুত্তর পাইনি। বরং উল্টো কাজের অনিয়মের ব্যাপারে কথা বললে আমার উপর চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করবেন বলে আমাকে হুমকি দেন। তাই আমি নিরুপায় হয়েই অভিযোগ দিয়েছি।
টংগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় ২টি মাদ্রাসা ও গ্রামবাসী চলাচলের একমাত্র সড়কটির কাজে অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। তবে প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য ফুলকাছ মিয়া দাবি করছেন তার প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়নি, যথাযথ কাজ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুনের ফোনে একাধিক কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।