শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দিরাইয়ে দিনদুপুরে একটি জলমহালের মাছ লুটের ঘটনায় দিরাই থানায় মামলা দায়েরের পর জিয়াউর রহমান লিটন (৪৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দিরাই পৌরসভার চণ্ডিপুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা নং-০১, তারিখ: ০২/১২/২০২১।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কচুয়া গ্রামের পূর্বে ‘চাতল গ্রুপ’ নামক জলমহালটি সরকার থেকে লিজ নেয় চান্দপুর বালি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। যার নিবন্ধন নং-১২৪৭। গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল নয়টায় উক্ত জলমহালের মাছ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে মাছ, জাল ও নৌকা লুটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা উল্লেখ করে ১১ জনের নাম দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় পৌরসভার চণ্ডিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে মোঃ রায়হান মিয়া বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, পশ্চিম চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাশিমের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে লিটন একজন চাঁদাবাজ, উগ্র, সন্ত্রাসী ও খুনিয়া প্রকৃতির লোক। ২০১৭ সালে সংঘটিত কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া নদী নামক জলমহালে বহুল আলোচিত তিন খুনের মামলা জিআর নং-০৫/২০১৭-এর এজহার নামীয় আসামী। ১৯৯৮ সালে ঘটে যাওয়া দিরাই বাজারে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নান্টু রায় হত্যা মামলার এজহারভূক্ত আসামী। মামলা নং-০২, তারিখ: ০১/১১/১৯৯৮। এছাড়া জিয়াউর রহমান লিটনের নামে দিরাই থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা নং-০৯, ২৮/১১/১৯৯৭, সি.আর-৩৫/২০১৩ (দিরাই)। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জি.আর-০৬/৯৮, জি.আর-০৩/২০০৬।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামী লিটনের হাতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ি, শিক্ষক লাঞ্ছনার একাধিক ঘটনা রয়েছে। তন্মধ্যে দিরাই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, দিরাই কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাসহ অনেকের লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
মামলার বাদী উল্লেখ করেন, চাতল গ্রুপ জলমহালের কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সরকারি ও স্থানীয় নিয়ম মেনেই ১৪২৭ বাংলা হতে ১৪৩২ বাংলা পর্যন্ত জলমহালটির ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে জলমহালের রক্ষণাবেক্ষণ, ফিশিং ইত্যাদিতে শরিক হয়ে সেখানে বাঁশ, কাটা দিয়ে পাহাড়াদার নিয়োগ করি। ঘটনার দিন ও বর্ণিত সময়ে এজহারভূক্ত আসামীগণ আমাদের জলমহালের পাহাড়াদারদেরকে বেঁধে হত্যার হুমকি দিয়ে মাছ লুটপাট করে। যাওয়ার সময় সেখানে থাকা আমাদের জাল ও নৌকা নিয়ে যায়। এতে আমাদের মাছ বাবত এক লাখ ১০ হাজার, জাল বাবত ৫০ হাজার, নৌকার মূল্য বাবত এক লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (তদন্ত) আকরাম আলী জিয়াউর রহমান লিটনের গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শুক্রবার দুপুরে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।