শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দিরাইয়ে দুষ্কৃতিকারীর হামলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে চুরিকাঘাত করার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব চান্দপুর গ্রামের শিবমন্দির সংলগ্ন কীর্তন ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চান্দপুর আখড়ায় তপু দাস (৩৮) নামে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত তিন থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু দৃষ্কৃতিকারী আক্রমণ করতে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে তপু। এ সময় তাকে চুরি দিয়ে পেটের মধ্যে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে গুরুতর হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চান্দপুর গ্রামবাসি সূত্রে জানা যায়, রাত আড়াইটার দিকে পেটের বাম পাশে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তপু দাস গ্রামের কয়েক বাড়িতে গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিতে অনুনয় করে। পরে উত্তর চান্দপুর গ্রামের সুরঞ্জিত বর্মন তপুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তপুকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সেখান থেকে সিলেটে নিয়ে যান স্বজনরা।
তবে তপু দাসের ভাই গোপেশ দাস ওরফে সুজন দাস এ ঘটনায় নৌকা প্রার্থীকে দায়ী করে বলেন, আমার ভাই তপু করিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিতে আমাদের একই গ্রামের নৌকার প্রার্থী লিটন দাস চাপ সৃষ্টি করে। টাকা-পয়সার প্রলোভন দিলেও আমার ভাই এতে রাজি হয়নি। বুধবার প্রচারণা শেষে দিবাগত রাত ২টার দিকে চান্দপুর শিব মন্দির সংলগ্ন কীর্তনের ঘরে ঘুমিয়েছিল। এ সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বলে জানান অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান। তিনি জানান, আপাতত ঘটনাটি কোন দুষ্কৃতিকারীর পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হয়। এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তদন্ত সাপেক্ষে আসামী গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানান।