শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : মৌলভীবাজার শহরতলীর মোস্তফাপুর এলাকার জামেয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা । বুধবার সকাল ৮টার দিকে হামলা চালানো হয়। মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, সকাল ৮টার দিকে যুবকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জামেয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল ও মাদ্রাসার জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে হামলাকারীরা মাদ্রাসা এলাকায় টিনশেডের তৈরি একটি হিফজখানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় হেফজখানা রক্ষা করতে গেলে মাদ্রাসার তিন শিক্ষক আহত হন। আহত শিক্ষকরা হলেন হাফেজ হিফজুর রহমান, হাফেজ আব্দুল্লাহ ও মাওলানা ইয়াহিয়া। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালেক জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ওয়াজে মিলাদ পড়া না পড়া ও ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ নিয়ে কিছু মন্তব্যের জের ধরে এ হামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন জুমাদ মিয়া (২৯), শফিকুল ইসলাম (৩০) ও আবু বকর সিদ্দিকী (৩৫)। তাঁদের বাড়ি পাশের মোস্তফাপুর এলাকায়। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জামেয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল হাকিম বলেন, ‘রাতেই পাশের একটি মসজিদে তারা বৈঠক করে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা খবর পেয়ে ফজরের নামাজের পরই দরজা, ঘরগুলো বন্ধ করে দিতে বলি। আজ সকাল ৮টার দিকে ৬০-৭০ জন হঠাৎ করে দেয়াল টপকে মাদ্রাসায় ঢুকে পড়ে। ঢুকেই প্রিন্সিপালের গাড়ির গ্লাস ভেঙে চুরমার করে দেয়। রামদা দিয়ে কুপিয়ে একটি মোটরসাইকেল নষ্ট করে। টিনশেডের একটি হেফজখানায় অনেক কোরআন শরিফ ছিল। তারা লাথি দিয়ে কোরআন শরিফ ফেলে দিয়েছে। এ সময় ওস্তাদরা (শিক্ষক) কোরআন শরিফ রক্ষার চেষ্টা করলে তাদের মারধর করে। নাম ধরে বলছে ওমুক বের হ।’
আবদুল হাকিম জানান, প্রিন্সিপাল ছাত্রদের বলেছেন, সাবধান বের হবা না। দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে ছাত্ররা আসছে। তাদের অভিভাবক নেই। বের হলে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে কেউ বের হয়নি। এরপর হামলাকারীরা নিরাপদে বের হয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।