শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
স্কুলছাত্রকে ২০ দিন পর ফেসবুক বান্ধবীর বাসা থেকে উদ্ধার

স্কুলছাত্রকে ২০ দিন পর ফেসবুক বান্ধবীর বাসা থেকে উদ্ধার

আমার সুরমা ডটকমনিখোঁজের ২০ দিন পর বরিশাল জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাকলাইন সাজিদকে তার ফেসবুক বান্ধবীর নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার বান্ধবী ভাবনা মালাকারকেও আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তাদের দুজনকে আটকের পর বরিশাল এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এটা প্রেম নাকি অন্য কিছু পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ভাবনা মালাকার (২২) বিবাহিত। তার পিতা জয়দেব মালাকার পরিবার নিয়ে বরিশালের বান্দ রোডে বসবাস করেন। ভাবনার স্বামী সুমন মিস্ত্রিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় থাকেন। আর সাকলাইন সাজিদ জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র এবং বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জ বেলতলার    আল-মদিনা সড়কের এইচএম  জিয়াউর রহমানের ছেলে।

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফরহাদ সরদার জানান, সম্প্রতি ভাবনা মালাকারের সঙ্গে সাকলাইন সাজিদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে গত ২৯ জানুয়ারি তারা নগরীর প্লানেট পার্কে দেখা করেন। ওইদিনই ভাবনা সাজিদকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর বাসায় চলে যায়। এদিকে ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় সাজিদের বাবা এইচএম জিয়াউর রহমান নগরীর কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং ১১৮৫) করেন। ওইদিনের পর থেকে সাজিদের সঙ্গে তার পরিবারের যোগযোগ বিচ্ছিন্ন।

সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে ভাবনার বাসা থেকে সাজিদকে উদ্ধার এবং ভাবনাকে আটক করে পুলিশ। সহকারী কমিশনার ফরহাদ সরদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশও সন্দেহের মধ্যে আছে। এটা প্রেম নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ ভাবনা মালাকার তার স্বামী নিয়ে দুই কক্ষের বাসায় বসবাস করেন। যেখানে তার স্বামী আছে সেখানে অন্য আরেকজনকে নিয়ে কিভাবে তিনি সেখানে ছিলেন, বিষয়টি বুঝে ওঠতে পারছেন না তারা। যদি সাকলাইনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কই হয় তাহলে একই বাসায় স্বামীকে নিয়ে থাকাটা যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদ জানিয়েছে, সে তার বাবার সঙ্গে অভিমান করে ফেসবুক ফ্রেন্ডের বাসায় গোপনে অবস্থান নেয়। সাজিদের ৭টি ফেসবুক আইডি রয়েছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকায় পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন উভয়কে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com