বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নে চলছে অবাধে ৫ দিনব্যাপি অবৈধ যাত্রাপাল, মদ ও জুয়ার আসর। এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের পশ্চিম মাঠে বিশাল সামিয়ানা (প্যান্ডেল) দিয়ে যাত্রাপালা শুরু করেন স্থানীয় আব্দুল কদ্দুস, ইকবাল হোসেন প্রমূখ। অবৈধ যাত্রাপালায় নর্তকী নাচ দেখিয়ে টিকেট করে নেওয়া লাখ লাখ টাকা হচ্ছে। যাত্রার অন্তরালে গড়ে উঠে নারী, মদ ও জুয়ার আসর। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কিছু সংখ্যক পাতিনেতা দলীয় সাইন বোর্ডকে সামনে রেখে অবৈধভাবে কার্যক্রম শুরু করেছেন। প্যান্ডেলকে ঘিরে দিবারাত্রি চলে গাঁজা, মদ, জুয়া এমনকি অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিযোগিতা। কেউ এ ব্যাপারে কোন কিছু বললে¬ তাকে অপদস্ত করা হয়। পুলিশ প্রশাসন জেনেও না জানার ভান করছে বলে এলাকায় চাউর হয়েছে। নেশা জাতীয় দ্রব্যপান করে তরুণ সমাজ বিপদগামী হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়–য়া কোমলমতি ছাত্র ও যুকরা এই মদ, জুয়া এবং অসমাজিক কার্যকলাপে জড়িত হচ্ছে। রাস্তার পাশে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে দেওয়া ঠিক হবেনা, এর বিহিত ব্যবস্থা করার একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে অবৈধ যাত্রাপালার পরিচালক কদ্দুস মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা টেহা (টাকা) খরচ কইরা শেষ মেশ এইডা করতাছি, আর করতাম না।’
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক শিক্ষানুরাগী বলেন, ‘আমাদের স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র, ছাত্রী রাস্তা দিয়ে আসে, এতে বিভিন্ন খারাপ উক্তি শুনতে হয়, এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, আমরা কিছু করতে পারিনি। সুশিল সমাজ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন যাতে করে মদ, গাঁজা, অশ্লীল নৃত্য ও অসামাজিক কার্যকলাপসহ যাত্রাপালা উচ্ছেদ করার দাবী জানান।’
ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, আমি কয়েকদিন যাবৎ বাড়িতে নেই এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল হাসেম বলেন, গতকাল রাতে পুলিশে যাত্রাপালা ভেঙ্গে দিয়ে এসেছে।
জামালগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মু. রশীদ আহম্মদ জানান, আমি প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে বলেছি, যাতে করে অসামাজিক কার্যকলাপ না হয়।