রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
চান মিয়া, বিশেষ সংবাদদাতা (সুনামগঞ্জ): ছাতকে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির মায়েরকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মায়েরকুল গ্রামের আনর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মকবুল ও প্রতিপক্ষ একই গ্রামের কলমদর আলীর ছেলে মাহমুদ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বসত বাড়ির ভূমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে দু’পক্ষ এ নিয়ে চলমান উত্তেজনার একপর্যায়ে বুধবার সকালে বিরোধীয় ভূমিতে কাজ করা নিয়ে মকবুল ও মাহমদ আলীর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির (৫০), বশির আলী (৪৪), মোশাহিদ আলী (৫২), অলিউর রহমান (১৮), মহিবুর রহমান (২২), আনোয়ার হোসেন (২৮), আতাউর রহমান (২০), মকবুল আলী (১৮), কবির হোসেন (২৭), আজাদুর রহমান (২১), দিলোয়ার হোসেন (১৮), মিজাজ মিয়া (৪০), শাহজাহান (৩০), কবির হোসেন (২৫), স্কুল ছাত্র সাকিব (৮) ও আলী হোসেনসহ (২৬) উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়। এদেরকে স্থানীয় কৈতকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির জানান, চাচাতো ভাই সাবেক মেম্বার মাহমুদ আলী প্রায় ২০ বছর আগে এক কেদার জমি বিক্রি করলে প্রতিপক্ষের লোকজন এর সাথে আরো দেড় কেদার জমি জবর-দখলের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ঘটনার সময়ে ভূমি জবর-দখলে বাঁধা দিতে গিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিনি মধ্যস্ততা করতে গিয়ে মকবুল পক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান মকবুল জানান, প্রতিপক্ষ মাহমুদ আলীর কাছ থেকে এক কেদার জমি ক্রয় করেন। কিন্তু রেজিস্ট্রির সময় অন্য একটি দাগে দলিল সম্পাদন করে। এটি সংশোধন না করে বিক্রিত জমি পূনরায় জবর-দখলের চেষ্টাসহ গত ১১ এপ্রিল তাদের বসত ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ১৭ এপ্রিল সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা করায় প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা করে। এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে এসআই আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।