শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
প্রিন্সিপালের অনুপস্থিতিতে কøাস শুরু: দিরাই ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রিন্সিপালের অনুপস্থিতিতে কøাস শুরু: দিরাই ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটকমআদিপত্য ও পেশিশক্তি প্রদর্শনের কারণেই সুনামগঞ্জের দিরাই ডিগ্রি কলেজের উদ্বোধনী ক্লাসে কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় উদ্বোধনী ক্লাস পন্ড হয়েছে। এ সময় দিকবিদিক ছুটাছুটি করে পালাতে গিয়ে ১০-১৫ জন ছাত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজে একাদশ শ্রেণির উদ্বোধনী ক্লাসে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে সদ্য বিলুপ্ত সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুহেল মিয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পদক উজ্জ্বল মিয়া গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালে উজ্জ্বল গ্রুপের নেতা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মান্না তালুকদার লিমন ও রিমন মিয়ার সাথে সুহেল গ্রুপের লিমন মিয়া, মামুন মিয়া ও আফজাল মিয়ার সাথে বক্তব্য প্রদানকে কেন্দ্র করে নেতৃবৃন্দের সামনেই হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়গ্রুপ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা দিকবিদিক ছুটাছুটি করে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পালাতে থাকে। মারামারিতে কেউ হতাহত না হলেও পালাতে গিয়ে কিছু ছাত্র-ছাত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। এ ব্যাপারে সুহেল মিয়া বলেন, দিরাইয়ে ছাত্রলীগের কোন ইউনিট কমিটি নেই, এখানে কিছু অছাত্র যারা কোন দিনই কলেজের বারান্দায় পা রাখেনি, এমন কিছু লোক ছাত্রলীগের পদবী ব্যবহার করে মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ছাত্রলীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গতকালও কলেজের প্রোগ্রামে কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মোটর সাইকেল ড্রাইভারদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে মাস্তানি করতে গেলে সাধারণ ছাত্ররা তাদের ধাওয়া করে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (অনুনোমুদিত) উজ্জ্বল মিয়া বলেন, আমি কলেজে ছিলাম না, শুনেছি সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। আর ইমন, মামুন ছাত্রলীগের কেউ নয়, তারা আমার ছাত্রলীগের উপজেলা, পৌর ও কলেজ কমিটির কোন সদস্য নয়। ইমনের পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত, তার বাবা নৌকায় ভোট দিলে ঈমান থাকবে না বলে গত উপ-নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়ে ছিল। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিমান চৌধুরী বলেন, আমি সুনামগঞ্জে একটি মিটিংয়ে, আমাকে কেউ এখনো জানায় নি, আমি এসে বিষয়টি জানবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com