রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উচ্চ বিদ্যালয় হতে একটি র্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম শামীম। সহকারি শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি সহকারি কমিশনার (ভূমি) মনিরুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মনিসর চৌধুরী, আওয়ামীলীগ সভপতি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল মুকিত, জামালগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার (সাজিব), জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রজব আলী তালুকদার। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ চক্রবর্তী, বিএনপির নেতা মোঃ মোক্তার হোসেন, আব্দুল মুকিত তালুকদার, ভীমখালী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান তালুকদার, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জহিরুল হক তালুকদার, আবুল কালাম সরকার, পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৫০ সালে স্থাপিত হয়েছে, এতে প্রতিষ্ঠাকালীন দাতা সদস্য নয়াহালট গ্রামের রহমত উল্লাহ তালুকদার, ছিফত উল্লাহ তালুকদার, সরাফত উল্লাহ তালুকদার, আজেফর আলী তালুকদার, আহম্মদ আলী তালুকদার, সাচনা বাজারের যোগেন্দ্র কুমার দাস ও এলাকার সর্বস্থরের জনগণের সহযোগিতায় উক্ত স্কুলটি গড়ে উঠেছিল। আয়তন ১ একর ৬৫ শতাংশ। শিক্ষকসহ মোট ২৬ জন রয়েছেন, স্কুলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২শত। জেলার শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে সনদ প্রাপ্ত হয় ১৯৮৮ সালে। প্রধান অতিথি প্রসূন কুমার চক্রবর্তী বলেন, জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি করণ হওয়া এলাকার সর্বস্তরের জনগণের উপকৃত হয়েছে এবং এতে করে হাওরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই, সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।