সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটায় শাহ আরেফিন (রহ) নামে সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার এই সেতু নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় দরপত্র আহ্বান করেছে। ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৮৩ সে. মিটার প্রস্থের এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি। স্থান নির্ধারণে নানা বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে অবশেষে দরপত্র আহ্বানের পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসি। এ ঘটনায় উচ্ছ্বসিত তিন থানার লাখো মানুষ। যাদুকাটা নদীতে নির্মিতব্য সেতুটি একটি দৃষ্টিনন্দন ও মডেল সেতু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিন্নাকুলি বাজারের দক্ষিণ পাশে মহেশখলা-টেকেরঘাট-লাউড়েরগড় এলাকা প্রকল্পভূক্ত হিসেবে শাহ আরেফিন (রহ) নামে সেতুটি নির্মিত হবে।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সীমান্তে সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদুকাটা নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর থানার কয়েক লাখ মানুষ দাবি জানিয়ে আসছে। তাছাড়া এই সেতুটি হলে এই তিন উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অবস্থানকারীদের সরাসরি জেলা, বিভাগ ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে বিরাট উপকৃত হবে তারা। এই খবরে সীমান্তে বসবাসকারি লোকজন উচ্ছ্বসিত। তারা দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন। জানা গেছে, বহুল কাক্ষিত এই সেতুটি নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছেন স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। এ নিয়ে সংসদেও কথা বলেছেন তিনি। তার প্রচেষ্টায়ই মূলত এই সেতুটি নির্মাণ কার্যক্রম আলোর মুখ দেখেছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন। জানা গেছে, যাদুকাটা নদীতে সেতু নির্মাণে সাইট নির্ধারণ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় সীমান্তবাসি সেতুটি লাউড়েরগড়ে এবং আরেকটি পক্ষ বিন্নাকুলিতে নির্মাণের দাবি তুলে। অবশেষে বিন্নাকুলি বাজারের দক্ষিণ পাশেই সেতুটি নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। এখানে নির্মাণের জন্য গত মঙ্গলবার দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। এখানে নিমির্ত হলে সীমান্ত এলাকাবাসি সরাসরি সড়কে যুক্ত হতে পারবেন না বলে জানা গেছে। কারণ মাহারাম নদী পেরিয়ে তাদের এই সেতুর সুবিধা ভোগ করতে হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, যাদুকাটা নদীতে সেতুটি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করায় আমরা আনন্দিত। আমাদের দাবি যথাসময়ে যাতে সেতুটির কাজ শেষ হয়। সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন জানান, ২০০৯ সালে তাহিরপুর আগমন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন যাদুকাটা নদীতে সেতু নির্মাণ করা হবে। সেই প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী যাদুকাটা নদীতে সেতুর কাজ হবে ইনশাল্লাহ, আওয়ামী লীগ সরকার বারবার দরকার এই সরকারের আমলে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, প্রতিবন্ধী স্কুল, বিদ্যুৎতায়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার আওয়ামী লীগ সরকার।