মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মুকুটের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুরমা নদীর উপর আব্দুজ জহুর সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে সূচনা বক্তব্য রাখা নিয়ে কথা কাটকাটি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে আব্দুজ জহুর সেতু উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকেও সুনামগঞ্জের চার এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ প্রশাসক, পৌরমেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
ভিডিওি কনফারেন্স শুরু হওয়া আগে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান প্রথমে তিনি নিজে, পরে চার সাংসদ, সর্বশেষ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখার জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্তু এ প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট। তিনি বলেন সূচনা বক্তব্য রাখবেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণভবন থেকে নির্দেশ অনুযায়ী ও অন্যান্য জেলায় যে পদ মর্যাদার নেতা সূচনা বক্তব্য রাখবেন সুনামগঞ্জে সে পদধারী নেতা বক্তব্য রাখবেন। পটুয়াখালীতে শেখ রাসেল সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেখানকার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বক্তব্য রাখেন। পটুয়াখালীর ভিডিও কনফারেন্স শেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জে আব্দুজ জহুর সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চলে আসেন। তখন সূচনা বক্তব্য রাখা নিয়ে আবারও এমএ মান্নান ও মুকুটের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সূচনা বক্তব্য রাখেন। অবশ্য অনুষ্ঠান শেষ হলে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মুকুট একই গাড়িতে চড়ে আব্দুজ জহুর সেতু পরিদর্শন করেন।
জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘অনুষ্ঠানে তেমন কিছু হয়নি, এটি সামান্য বিষয়, মন্ত্রী পরে তাঁর গাড়িতে করেই আমাকে সুরমা সেতুতে নিয়ে গেছেন’। প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘সুরমা সেতু আমাদের বিশাল সাফল্যের বিষয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু কথাবার্তা হয়েছিল, আমি কেবল জবাব দিয়েছি’।