বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম :
সিলেট জেলায় নির্যাতনে নিহত শিশু সামিউল আলম রাজনের ঘরে নেই ঈদের আনন্দ। আছে শুধুই হাহাকার আর কান্না। জালালাবাদের কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেয়ালী গ্রামের বাসিন্দা মাইক্রোবাসচালক আজিজুর রহমান ও লুবনা আক্তারের বড় ছেলে সামিউল (১৩)। সামিউল আর আট বছরের সানিউল আলম সাজনকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার। কিন্তু গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে কয়েকজন যুবক। পরে ওই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে তারাই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সকালে বাদেয়ালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সামিউলের বাড়িতে ঈদের আনন্দের বদলে এখন শুধুই শূন্যতা। আদরের ছেলেকে হারিয়ে সামিউলের বাবা-মা আজ পাগলপ্রায়। তাদের দাবি শুধু একটাই, ছেলের খুনিদের বিচার।প্রতিবছর ঈদে ছেলে রাজনকে পরম যতেœ সেমাই মুখে তুলে দিতেন মা লুবনা আক্তার। সেই আদরের সন্তান আজ নেই। তার ছবি বুকে জড়িয়ে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘‘আমাদের কিসের ঈদ? সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ওই পাষ-রা। ওদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই, ওরা আমার ওইটুকু ছেলেকে ‘চোর’ অপবাদে পিটিয়ে মেরেই ফেলল।’’ রাজনের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘‘প্রতি ঈদে ছেলেটা নতুন কাপড় কিনে দেওয়ার আবদার করত। এবার ও কবরে শুয়ে আছে, আমরা কীভাবে ঈদের আনন্দ করি? আমরা তার খুনিদের বিচার চাই।” ঈদের নামাজ শেষে প্রতিবেশীরা সবাই এসেছেন রাজনদের ঘরে। কিন্তু কারো মুখেই আনন্দের ছাপ নেই। একরাশ কষ্ট বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্টের অংশীদার হচ্ছেন।