মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
ভয়ংকর রহস্যময় পুতুলের দ্বীপ!

ভয়ংকর রহস্যময় পুতুলের দ্বীপ!

file (70)

আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : স্থানীয় ভাষায় দ্বীপটির নাম ইলসা ডে লাস মিউনিকাস, ইংরেজিতে Island of the dolls বা পুতুলের দ্বীপ। এই দ্বীপটিকে ঘিরে যেমনই রয়েছে রহস্য, তেমনই রয়েছে ভয় । আশি বছর আগের কথা। তিন মেক্সিকান শিশু পুতুলের বিয়ে দিচ্ছিল গাছে ঢাকা শীতল অন্ধকার দ্বীপটিতে। খেলতে খেলতেই তিনজনের একজন নিখোঁজ! পরে দ্বীপের পাশের একটি খালে পাওয়া গেল মৃতদেহ। এরপর থেকে ভয়ে আর কেউ ওই দ্বীপের ত্রি-সীমানা মাড়ায়নি। ভয়ংকর সে পুতুলের দ্বীপ মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ১৭ মাইল দক্ষিণে জোকিমিলকো জেলায় অবস্থিত। এই দ্বীপটি কেমন যেন গা শিউরে দেয়ার মতো। এই দ্বীপজুড়ে শুধু পুতুল আর পুতুল। এ দ্বীপকে ঘিরে রয়েছে অদ্ভুত কিছু ভুতুড়ে কাহিনী।

file (71)

উপরের ঘটনার আরও ৩০ বছর পরের কথা, ১৯৫০ সালের দিকে ডন জুলিয়ান সানতানা নামের এক যাজক নির্জনে তপস্যা করার জন্য দ্বীপটিকে বেছে নিয়েছিলেন। জুলিয়ানের ভাষ্য অনুযায়ী, দ্বীপটিতে আশ্রম গড়ে তোলার পর থেকে তার সঙ্গে মৃত শিশুটির আত্মার প্রায়ই কথা হয়। শিশুটির আত্মা জুলিয়ানের কাছে পুতুলের বায়না ধরে। তবে যেমন তেমন পুতুল নয়। বীভৎস সব পুতুল চেয়ে বসে শিশুটির আত্মা- যেগুলো দেখলে মনে হবে তারা মানুষের নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছে। ওই আত্মার অনুরোধেই জুলিয়ান তার আশ্রমে চাষ করা সবজির বিনিময়ে মানুষের কাছ থেকে নষ্ট পুতুল সংগ্রহ করতে থাকেন। জঙ্গলে এনে গাছের ডালের সঙ্গে এগুলো বেঁধে রাখলেই খুশি হতো শিশুটির আত্মা। এমনিভাবে হাজার হাজার কুড়িয়ে পাওয়া কিংবা কিনে আনা পুতুল দিয়েই জুলিয়ান গড়ে তোলেন মৃত পুতুলের দ্বীপ ।

file (72)

কেও কেও বিশ্বাস করেন, দ্বীপটিতে এখনও মৃত শিশুটির আত্মা ঘোরাঘুরি করে। মাঝে মাঝে শোনা যায় ভুতুড়ে আওয়াজ। এতসব রহস্যের কারণেই ১৯৯০ সালে মেক্সিকান সরকার এই জোকিমিলকো জেলার এই দ্বীপটিকে National Heritage ঘোষণা করে। মেক্সিকান সরকার এই দ্বীপকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পর্যটন অঞ্চল বানানোর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু পর্যটকরা কদাকার পুতুল দেখে বোধ হয় রাতে দুঃস্বপ্ন দেখতে চান না। তাই তারা কখনও আসেন না। এই দ্বীপে একেক মৌসুমে বিশ-ত্রিশজনের বেশি পর্যটক কখনোই আসেননি।

এই দ্বীপের সর্বশেষ রহস্যজনক ঘটনা ঘটে ২০০১ সালের ২১ এপ্রিল। ওই দিন জুলিয়ান তার ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে সেই অপয়া খালটিতে মাছ ধরছিলেন। সে সময় তিনি ভাগ্নেকে বলেন, ‘পানির নিচ থেকে আমাকে কারা যেন ডাকছে! তাদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করছে।’ কিছুদিন পরই ওই খাল থেকে উদ্ধার করা হয় জুলিয়ানের নিথর দেহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com