বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা দিতে দাঁড়ালে এমপিরা দারোয়ানের মতো তার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকেন। মনে হয় যেন তারা প্রহরীর মতো তাকে পাহারা দিচ্ছেন। এলাকায় গেলেও দেখা যায় সেখানের এমপি প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিতে উঠলে তার পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যান।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আলোচনা সভায় বক্তৃতার সময় ছাত্রনেতারা তার পেছনে দাঁড়ালে তাদের সরিয়ে দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিনকাল ভাল যাচ্ছে না। কারণ খালেদা নির্বাচনের পায়তারা করছেন। এজন্য মাথা গরম। কারণ জঙ্গিবাদীরা এখনো আত্মসমর্পন করেনি। এজন্য আরেকটি ১৬ ডিসেম্বর দরকার। শেখ হাসিনা কমান্ডার হয়ে যে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাতে বিজয়ী হলে আমরা নিঃশ্বাস ফেলতে পারবো।’ তিনি বলেন, ‘এ বিজয়কে এমনভাবে গড়তে হবে যেনো কোনদিন আর ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট না হয়।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘যুদ্ধের শেষ পর্ব এখন। এ যুদ্ধের নিষ্পত্তি প্রয়োজন। এতে কোনো মিটমাট নাই। কারণ এটিই হবে শেষ যুদ্ধ। এতে আমরাও ধ্বংস হয়ে যেতে পারি কিংবা ওরা ধ্বংস হবে। তবে এ পর্যন্ত আমরা এগিয়ে আছি।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা আত্মসমর্পন করলে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। না হলে এর আগেই তিনি ধ্বংস হয়ে যাবেন। খালেদাও তা বুঝেই শেষ চেষ্টা করছেন। তিনি পিছু হটে দম ফেলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু খালেদা মাফ চাইলেও মাফ পাবে না। কারণ ২১ আগস্টের খুনিদের মাফ করার অধিকার শেখ হাসিনাও রাখেন না।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে আমরা লিঙ্গ সমতা আনতে পারিনি। এটি লজ্জার বিষয়। আমরা সে চেষ্টা করিনি, করলে সমতা আসতো।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৮ মার্চই আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছেন। ২৬ মার্চের ঘোষণা ছিল আনুষ্ঠানিকতা। আর বঙ্গবন্ধু কোনো দিন মিটমাট করেননি। যদি ’৭৫ এরপর রাজনীতিবিদরা মিটমাট না করতেন তাহলে জিয়া কবেই উড়ে যেত। সত্য কথা বলতে, এর দায় কিছুটা নিজেদের উপরও আসে।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আর্কাইভ-৭১ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।