বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
বিয়ের পরে হানিমুন নিয়ে অনেকেই অনেক রকম পরিকল্পনা করে থাকেন। তাই বলে হানিমুনের জন্য আস্ত একটা ট্রেন ভাড়া নেওয়া! এমনটাই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর উটিতে।
৩০ বছরের এর গ্রাহাম উইলিইয়াম লিন ও ২৭ বছরের সিলভিয়া প্লাসিক বিয়ের পর ঠিক করেন, হানিমুন কাটাতে তাঁরা ভারতের নীলগিরি পাহাড়ে যাবেন। সেইমতো চেন্নাইয়ে এসে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু সেখানে পা দেওয়ার পরেই তাঁরা জানতে পারেন মেট্টুপালায়াম থেকে উদাগামন্ডলম বা উটিতে যাওয়ার জন্য এক অপূর্ব সুন্দর রেলপথ আছে। এই রেলপথে যেতে যেতে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাই ওই দম্পতি ঠিক করেন রেলপথেই উটি যাবেন।
কিন্তু হানিমুন মানে তো দম্পতির একান্তে সময় কাটানো। বাকি যাত্রীদের মধ্যে সেটা কীকরে সম্ভব। কুছ পরোয়া নেই। পুরো একটা ট্রেন বুক করে ফেলেন তাঁরা। পুরো ট্রেনে শুধু তাঁরা দু’জন থাকবেন। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট থেকে তাঁরা একটা গোটা ট্রেন ভাড়া নিয়ে নেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরাই প্রথম দম্পতি যাঁরা এই ধরণের কর্মকান্ড ঘটালেন।
সবার থেকে আলাদা এক হানিমুনের সাক্ষী থাকলেন এই দম্পতি। তবে তার জন্য ভালোই দক্ষিণা দিতে হয়েছে তাঁদের। ১২০ আসনের এই ট্রেন বুক করতে তাঁদের খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। সংবাদ মাধ্যমকে লিন্ড জানিয়েছেন, হানিমুনের পরিকল্পনা করার সময় ঠিক করলাম যাব নীলিগিরি। এর জন্য একটা স্টিম ইঞ্জিন ভাড়া করব। গোটা ট্রেনটাই হবে আমাদের। খুবই রোমান্টিক ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল। রেল সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতি রেলের বিশেষ অনুমতির জন্য আবেদন করেন। পর্যটনে উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাতে রাজিও হয়ে যায় রেল।
এরপরই রেলের সালেম ডিভিশনকে ওই বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। নীলগিরি মাউন্টেন সেকশনে যাতায়াতকারী তিন বগির ওই ট্রেনটিতে আসন সংখা মাত্র ১২০টি।
ইউনেস্কো এই ট্রেনকে হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেছে। ট্রেনটি চলে স্টিম ইঞ্জিনে। যাত্রাপথে পড়ে ১৩টি টানেল, ঘন জঙল ও একাধিক ঝর্ণা।