মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম তাহসিনকে যাত্রাবাহী উদার পরিবহন থেকে ধাক্কা দিয়ে হত্যার অভিযোগে বাস হেলপার মাসুক আলী (৩৮)-কে আটক করেছে সুনামগঞ্জ পুলিশ। সে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার মৃত দৌলত আলীর পুত্র।
গত শনিবার রাত ২টায় মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ী থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুত্র জানায়, গত শনিবার সকালে ময়মনসিংহের সরিষাবাড়ী থেকে সিলেট গামী যাত্রীবাহী বাস উদার পবিরহন যোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থেকে শেরপুরে আসার সময় ভাড়ার টাকা নিয়ে হেলপার ও চালকের সাথে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাস চালকের নির্দেশে হেলপার শিক্ষার্থী ওয়াসিমসহ দুজনকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এ সময় ওয়াসিম ও অন্য শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর বিকাল সাড়ে ৪টায় শিক্ষার্থী ওয়াসিম মারা যায়। এ ঘটনায় সিলেটসহ সারাদেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঝড় উঠে। বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খানের নির্দেশে রাত দেড়টায় হেলপার মাসুক আলীকে ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় থেকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তার আগে বাসের চালককে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো: বরকতুল্লাহ খান রাত সাড়ে ৩টায় তাৎক্ষনিকভাবে প্রেস ব্রিফিংকালে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘাতক হেলপার মাসুক আলীকে শ্বাসরুদ্ধকার দেড়ঘন্টা অভিযানের মাধ্যমে তার শ্বশুরবাড়ী সিংচাপইড়র গ্রাম থেকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বাসের সুপারভাইজারকে ঘটনার জন্য দায়ী করে। তাকে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান (পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসপি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: হায়াতুন নবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো: দুলন মিয়া, সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো: শহিদুল্লাহ, ছাতক থানার ওসি মো: আতিকুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন, সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওসি অপারেশন সঞ্জুর মোরশেদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।