সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ট্যাকেরঘাট বালিয়াঘাট সীমান্তের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক চোরাচালানী কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল (২৮)-কে থানা পুলিশ আটক করেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
সে উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাকমা নতুনপাড়ার গ্রাম্য প্রভাবশালী দুলু মিয়ার ছেলে।
তাহিরপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মো. আবু মুসা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, থানার এসআই হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকস টিম শনিবার দুপুরের দিকে ট্যাকেরঘাট বাজার থেকে মাদক মামলার পলাতক আসাসী কামরুলকে আটক করেন।
স্থানীয় সীমান্তবাসীর অভিযোগ, এক সময় সীমান্তের কয়লা ও পাথর চোরাচালানে জড়িত থাকলেও বর্তমানে বেকার কামরুলের গত ৪ থেকে ৫ বছর দৃশ্যমান কোন আয়ের উৎস না থাকলেও লাকমা সীমান্ত এলাকার সামছু, আব্দুর নুর, আবদুর নুরের স্ত্রী, বালিয়াঘাটার সুরুজ, বজলু, দুধের আউটার বড় আঙ্গুরী, কাউকান্দির ফয়েজ ওরফে ফজুর মাধ্যমে ভারতীয় মদ. গাঁজা ইয়াবা চালান নিয়ে এসে বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে দিয়ে বিক্রয় করিয়ে আসছিলো।
সীমান্ত লাগোয়া নিজস্ব বাড়ি ও প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ পরিবারের ছেলে হিসাবে কামরুল তার মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটনাতে গিয়ে গত দু’বছরের অধিক সময় ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর, ট্যাকেরঘাটে আসা বেশ কিছু পর্যটকবাহী নৌকার মালিক, মাঝি সুকানীদের সাথে আতাত করে পর্যটকদের নিকট বিদেশি মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিলো।
তাহিরপুর থানার মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার রাতে ট্যাকেরঘাট নৌকাঘাটে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহি ট্রলার (নৌকা)’র মালিক আশরাফুল ইসলামের হেফাজত থেকে কার্টন ভর্তি বিদেশি মদ আটককালে পাশে থাকা তালিকাভুক্ত মাদক চোরাচালানী কামরুল থানা পুশিলের সামনেই কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
থানা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায়, পুলিশী গ্রেফতার ও মাদক মামলার আসামী না হওয়ার বিষয়টি এড়াতে কৌশলী কামরুল রাতভর এমনকি শনিবার আটকের পর স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনকে দিয়ে তদবীর ও তার মাদক ব্যবসার আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা সীমান্তের এক বিতর্কিত কথিত সাংবাদিক নামধারীকে দিয়ে পুলিশকে নানামুখী চাঁপ প্রয়োগ করতে থাকে। একই তদবীর বাজার নাধারী সাংবাদিক ইতিপুর্বে বালিয়াঘাট নতুন বাজার এলাকায় ইয়াবাসহ এক মামদ ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে চাঁ ও তদবীর করে ব্যর্থ হয়। সীমান্তের আলোচিত ৭ মামলার আসামী হুন্ডি ও মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম ওরফে হুন্ডি কালামেরও আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা ওই সাংবাদিক নামধারী বালিয়াঘাট বাজারে গড়ে উঠা ভারনতীয় শিলংতীর খেলার জুয়ারীদেরও মদদ দিয়ে আর্থীক সুবিধা নিয়ে পুলিশ মাদক, জুয়া, চোরাচালান সহ নানা সীমান্ত অপরাধ দমনকাজে বারবার বাঁধা দিয়ে আসছে।
সীমান্তের নানা শ্রেণিপেশার লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো জানান, বিজিবি (তৎকালীন (বিডিআর) বালিয়াঘাট সীমান্তফাঁড়ির নামে জুয়ার আসর থেকে, চোরাই কয়লা –চুনাপাথর, গোল, ফাইল কাঠ থেকে চাঁদা আদায় করায় ওই সাংবাদিক নামধারীকে বেশ কয়েকবছর পুর্বে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পরে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য তাকে মুছলেখা দিয়ে ছড়িয়ে আনেন।
বিগত কয়েক বছর পুর্বে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার পত্রিকাতে কর্মরত থাকা অবস্থায় কথিত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উপজেলার বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (বিডিআর) কতৃক কয়েক লাখ টাকার ভারতীয় কয়লা চোরাচালানের মামলা হওয়ার পর সে কৌশলে অন্য একটি শীর্ষ পাঠকপ্রিয় জাতীয় দৈনিকের পেপার ক্লিপিং নিজের প্রকাশিত চোরাচালানবিরোধী সংবাদ হিসাবে চালিয়ে দিয়ে তথ্য গোপন করে ওই মামলার অভিযোগ থেকে নিজে আদালত থেকে অব্যাহতি নেয়।
ওই মামলার অপর অভিযুক্তরা এখনো বিচারাধীন মামলার আসামী হিসাবে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছেন।