মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : সেখানে ভিডিওচিত্র চলছে। তাতে এক গ্রাহকের অভিযোগ, ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেভাবে মানুষের অর্থ শুষে নিয়েছে, তেমনি মোবাইল কোম্পানিগুলো আমাদের পকেটের টাকা শুষে নিচ্ছে।’ এরপর ভিডিওচিত্রে আরো কয়েকজনকে দেখা যায় এমন অভিযোগ করতে। ঠিক এই জায়গাতেই থেমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ রকম হাজার হাজার অভিযোগ আছে, এরমধ্যে কয়েকটি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।’ সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ওই সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন দেশের বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারানা হালিম বলেন, ‘ইমেইল, ফেসবুক ও বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাছে এ ধরনের হাজার হাজার অভিযোগ এসেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কলড্রপ, যা গ্রাহকদের মাত্রাতিরিক্ত বিরক্তির কারণ, ত্রুটিপূর্ণ ইন্টারনেট সার্ভিস, প্যাকেজের নামে প্রতারণা, অতিরিক্ত চার্জ আদায়ের অভিযোগ করেছে গ্রাহকরা। এছাড়া কোনো তথ্য জানতে চাইলে এক থেকে ১০ পর্যন্ত চাপতে হয়।’ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা আপনাদের ডেকেছি। গ্রাহক সন্তুষ্টি আপনাদের দায়িত্ব। যে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তা সমাধানের ব্যবস্থা নিন।’ তিনি জানান, গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে। তারানা হালিম আরো বলেন, ‘আগামী তিন মাস পর আবারও বসব বিষয়টি নিয়ে।’ সভায় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা অভিযোগগুলো নোট করে নিচ্ছেন। পরে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে কলড্রপের সমস্যা বেশি হয় বলে জানালেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকায় এখনো টাওয়ার স্বল্পতা রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা। সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী গ্রাহকদের কলড্রপের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। কিন্তু আপনারা কেউই কলড্রপের প্রতিকারের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। আপনাদের ঘোষণা আছে যে কলড্রপ হলে অর্থ ফেরত দেবেন। অর্থ ফেরত তো দূরের কথা প্রতিকারের কথাই বলেননি।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্যাকেজের অনুমোদন দেই আমরা। কিন্তু শর্ত পূরণ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’