রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
ভোলায় চুল কাটার নিয়ম বেঁধে দিয়ে সেলুনে সেলুনে নোটিশ টাঙিয়ে দেন এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। তবে সমালোচনার মুখে তা প্রত্যাহারও করেছেন তিনি। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এই ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি সেলুনে ২৫ অক্টোবর টাঙানো হয় এ নোটিশ।
এতে লেখা, এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, ১৪নং জাহানপুর ইউনিয়নের সকল সেলুন দোকান মালিক ও কারিগরদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, সুন্নতি কাটিং, ডিফেন্স/আর্মি কাটিং ব্যাতিত অন্য কোনো কাটিং দেওয়া হলে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোটিশের নিচে চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের সিল, সই ও মোবাইল নম্বর।
এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ স্থানীয় সচেতন মহলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এমন নিয়মের প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যানের ছেলে তুষারের বিরুদ্ধে। এরপর বুধবার বিকেলে নিজের ভুল স্বীকার করে চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
এ বিষয়ে জাহাপুরের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের জানান ,‘ইয়াং ছেলেদের চুলের স্টাইল ও কালার করার বিষয়ে স্থানীয় মুরব্বিরা আমার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেন। আমি তাদের কয়েকজনকে চুল কাটার বিষয়ে বুঝিয়েছি কিন্তু তারা না মানায় স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলে ২৫ অক্টোবর নোটিশ জারি করি। তবে এটা যে আইন বহির্ভূত তা আমার জানা ছিল না। যখন জানলাম তখন ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার দিয়ে প্রতিটা নোটিশ তুলে নিয়েছি। আমার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে ক্ষমাও চেয়েছি।’
এক কিশোরকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে স্থানীয় জসিমের ছেলের চুল কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি জানতে পেরে অভিভাবক ডেকে মিট করে দিয়েছি।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নোমান রুহুল বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যান এ রকম নোটিশ জারি করতে পারেন না। তিনি যেটা করেছেন তাতে আইন লঙ্ঘন হয়েছে। তিনি মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছেন বলে মনে করেন তিনি।