শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
খুনের নির্দেশদাতার নাম নূর হোসেনের মুখেই শুনতে চান নিহতদের স্বজনরা : খুনের নির্দেশদাতা কে বা কারা তা নূর হোসেনের মুখ থেকেই জানতে চান নিহতদের স্বজনরা। একইসঙ্গে এ ঘটনায় অর্থের যোগানদাতা কারা তাদের বিষয়ে জানতে চান তারা। নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি গণমাধ্যমে বলেন, স্বামীসহ নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত হত্যার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই খুনের পেছনে টাকা বিনিয়োগকারীদের নাম বেরিয়ে আসবে। হত্যাকারীদের কার কার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। নিহতদের অপর এক স্বজন বলেছেন, নূর হোসেনের মুখ থেকেই শুনতে চান এ হত্যাকা-গুলোর নির্দেশদাতা কে। আরও কারা এর সঙ্গে জড়িত, যাদের নাম এখনো প্রকাশিত হয়নি। প্রসঙ্গত, রাতেই নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এমন খবর বিভিন্ন সংভাদ মাধ্যমে প্রচার হতে শুরু করলে তা নারায়ণগঞ্জে ‘টক অব দ্যা টাউন’-এ পরিণত হয়। আলোচনার ঝড় ওঠে চায়ের দোকান, রেস্তোরাঁ আর বিভিন্ন আড্ডায়। এমনকি গণপরিবহনের যাত্রীদের মাঝেও আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ বয়ে যায়। নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর সিদ্ধিরগঞ্জের শিমুলপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সাত খুন ঘটনার পর থেকেই প্রকাশ্যে বলে বলে আসছেন, তাঁর জামাতা নজরুল ইসলামকে হত্যার জন্য নূর হোসেন ছয় কোটি টাকা নারায়ণগঞ্জের কতিপয় র্যাব সদস্যদের দিয়েছেন। সেই টাকার বিনিময়ে নজরুলকে হত্যা করতে গিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছে তাঁরা। আর নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলছেন, এত মোটা অঙ্কের টাকা নূর হোসেনের একার না। তাঁর সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিলো। সবাই মিলে এ টাকার যোগান দিয়েছে। এ কারণেই মামলায় নূর হোসেনকে প্রধান করে তাঁর সহযোগী সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, নূর হোসেনের ক্যাশিয়ার হাসমত আলী হাসু, নূর হোসেনের সহযোগী আমিনুল হক রাজু, আনোয়ার হোসেন আশিক ও ইকবালকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামির নাম বাদ দিয়ে নূর হোসেন, তাঁর ৯ সহযোগী এবং তিন কর্মকর্তাসহ ২৫ র্যাব সদস্যকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি আদালতে নারাজির দরখাস্ত করলে প্রথমে নিন্ম আদালত, পরে সেশন আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়। পুনরায় তারা উচ্চ আদালতে নারাজির আবেদন করার কথা ভাবছেন বলে জানালেন বাদীর আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। সেলিনা ইসলাম বিউটি আরো বলেন, ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে নূর হোসেনের সঙ্গে তাঁর স্বামী নজরুলের বিরোধ চলছিল। হত্যার কিছুদিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজ এলাকায় একটি রাস্তা এবং ড্রেনের কাজ করার সময় নূর হোসেনের এক আত্মীয়ের দোকান ভাঙ্গা পড়ায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে নজরুলকে ধাওয়া করে নূর হোসেনের সহযোগীরা। সেদিন নূর হোসেন ঘোষণা দেয়, নজরুলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার।
নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত : ১১ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে আদালত এ নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ লাইন থেকে শুক্রবার বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি আদালতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। মাত্র আট মিনিটের ব্যবধানে গাড়িটি আদালত প্রঙ্গনে এসে পৌঁছায়। নূর হোসেনকে আদালত প্রঙ্গনে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা তার শান্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় অনেককে জুতা প্রদর্শন করতেও দেখা গেছে। এর আগে আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১-এর কার্যালয় থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়। নূর হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। আজই তাকে আদালতে হাজির করা হবে। ইতিমধ্যে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর লিয়াকত হোসেন নূর হোসেনকে গ্রহণ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় ভিড় করতে থাকেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পাওয়ার পর একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ একটি দল নূর হোসেনকে আনার জন্য বেনাপোলের উদ্দেশে রাতেই রওনা হয়ে গেছে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জন এবং পরের দিন আরো একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এবং নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। ওই মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এমএম রানা, মেজর আরিফসহ ১৮ র্যাব সদস্য এবং নূর হোসেনের সাত সহযোগী এখন কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন আরো নয় আসামি।
কারাগারের পথে নূর হোসেন : আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে। ১১ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে আদালত এ নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ লাইন থেকে শুক্রবার বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি আদালতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। মাত্র আট মিনিটের ব্যবধানে গাড়িটি আদালত প্রঙ্গনে এসে পৌঁছায়। নূর হোসেনকে আদালত প্রঙ্গনে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা তার শান্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় অনেককে জুতা প্রদর্শন করতেও দেখা গেছে। এর আগে আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১-এর কার্যালয় থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়। নূর হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। আজই তাকে আদালতে হাজির করা হবে। ইতিমধ্যে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর লিয়াকত হোসেন নূর হোসেনকে গ্রহণ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় ভিড় করতে থাকেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পাওয়ার পর একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ একটি দল নূর হোসেনকে আনার জন্য বেনাপোলের উদ্দেশে রাতেই রওনা হয়ে গেছে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জন এবং পরের দিন আরো একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এবং নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। ওই মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এমএম রানা, মেজর আরিফসহ ১৮ র্যাব সদস্য এবং নূর হোসেনের সাত সহযোগী এখন কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন আরো নয় আসামি।