শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শুক্রবার রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এ উপলক্ষে বাদ মাগরিব থেকে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-না’ত, ওয়াজ মাহফিল, নামাজ, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করছেন মুসল্লিরা।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।
মহিমান্বিত এই রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও বিশেষ মোনাজাত ও দোয়াখায়েরে শামিল হন।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সৌভাগ্যের এ রজনীতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানরা কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন।
এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা আজ নফল রোজাও পালন করেছেন।
বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে রাতভর চলছে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগি ও মোনাজাত।
মুসলমানদের বিশ্বাস, মহিমান্বিত এ রাতেই মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের ভাগ্য অর্থাৎ তার নতুন বছরের ‘রিজিক’ নির্ধারণ করে থাকেন।
রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগি, জিকির ছাড়াও পবিত্র এ রাতে মুসলমানরা মৃত বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।