শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবুল মকসুদ বলেছেন, আইএস-এর মতো এ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো পশ্চিমা দেশগুলোরই তৈরি। শত শত বছর ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর মাধ্যমে মুসলিম দেশগুলো অত্যাচার নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। ইসলামকে তারা নানাভাবে অপমান করেছে। এ কারণে মুসলমানদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের প্রতি পশ্চিমাদের নিপীড়ন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না ঘটলে এ জাতীয় গুপ্ত হামলা বন্ধ হবে না। কারণ দুর্বল সম্মুখযুদ্ধে শক্তিশালীকে পরাস্ত করতে পারে না। এজন্য দুর্বলরা গোপন তৎপরতা চালায়।
তিনি বলেন, প্যারিসে ঘটনা একটা জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা। এ ধরনের হামলাকে ধিক্কার জানাই। এ জাতীয় জঙ্গি তৎপরতা কোন সুস্থ মানুষ সমর্থন করতে পারে না। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আইএস এ বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। কিন্তুপ্যারিসের হামলার পর ইউরোপের অভিবাসী মুসলমানদের জীবনে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিতে পারে। বিশ্ব নেতারা যদি হিংসার পরিবর্তে শুভ বুদ্ধি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান না করে তাহলে পৃথিবীর কোন স্থানেই শান্তি আসবে না। আমাদের দেশেও এর প্রভাবে হিংসার জন্ম দিতে পারে। সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে দেশে। তবে এখনও বড় ধরনের জঙ্গিগোষ্ঠী দৃশ্যমান নয়। তাই সরকারের আরও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে জনগণের মধ্যে অনিশ্চিয়তা তৈরি হবে। তবে এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জঙ্গি সন্দেহে নিরাপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।
বর্তমানে জঙ্গি সন্দেহে জামায়াত বিএনপির বহুলোককে কারা রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হচ্ছে কিন্তু এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্য হচ্ছে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বেরা করে আইনের আওতায় আনা। সুষ্ঠু তদন্ত না করে শুধু রাজনৈতিক কারণে কাড়িকাড়ি অভিযোগ ও ধরপাকড় করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেবে। এ সুযোগে প্রকৃত সন্ত্রাসী নাশকতামূলক কাজ করতে উৎসাহিত হবে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিলেই দেশে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা কমবে বলে মনে করেন তিনি।