বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের: আটক ১ দিরাইয়ে মাওলানা মুশতাক গাজীনগরীর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নিখোঁজের ৩ দিন পর জমিয়ত নেতা মুশতাক গাজিনগরীর লাশ উদ্ধার ইউ.কে জমিয়ত সাউথ ওয়েস্ট ইংল্যান্ড শাখা গঠিত: অলিউর রহমান সভাপতি, আবদুর রহীম সেক্রেটারি দিরাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বুরসায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলার্স-এর উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে বজ্রপাত নিরোধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত সৈয়দ সালমান গিলানীর সাথে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ.কের নাত ও নাশীদ সন্ধ্যা দিরাইয়ে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু
বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হলে বিয়ের ধারণাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা

বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হলে বিয়ের ধারণাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা

amarsurma.com
বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হলে বিয়ের ধারণাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা

আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:

বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে পুরনো বিতর্কে নতুন মাত্রার সংযোজন। এবার আসরে নামল একটি পুরুষ অধিকার সংগঠন। তাদের দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণকে যদি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়, এবং সেটা অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়, তাহলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির উপর বিশ্বাস হারাবেন মানুষ।

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমী সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক চলছে। বহু মামলাও হয়েছে। কিন্তু এখনও ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও আইন নেই। এই মুহূর্তে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও। তবে কিছুদিন আগে একটি গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, বিবাহিত মহিলারাও ‘ধর্ষণে’র শিকার হতে পারেন। স্বামীর আচরণে অবাঞ্ছিত ভাবে গর্ভবতী হতে পারেন মহিলারা।

তারপরই আসরে নামল পুরুষ আয়োগ ট্রাস্ট নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল করেছে তারা। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী প্রাপ্তবয়স্ক হলে জোর করে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে স্বামীকে শাস্তি দেয়া যায় না। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণ স্বীকৃত হলে অনেক বিয়ে উপযুক্ত বিচার ছাড়াই ভেঙে যেতে পারে। কারণ জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে স্ত্রীর জবানবন্দি ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকে না। পুরুষের কাছে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার কোনও উপায় থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই বিয়ে নামক সংস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস উঠে যেতে পারে।

পুরুষ অধিকার সংগঠনটির যুক্তি, প্রতি বছর মহিলাদের ভুয়া নারী নির্যাতন এবং গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে বহু পুরুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। এবার যদি বৈবাহিক ধর্ষণ বৈধতা পায়, তাহলে তার অপব্যবহার হবে এবং বহু নিরপরাধ পুরুষ শাস্তি পেয়ে যাবে।

সূত্র: টাইমস নাউ

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com