বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
পবিত্র মাহে রমযানে সেহরির সময় শুধুমাত্র চিড়া-মুড়ি ও বিস্কুট খেয়ে রোযা রাখছেন রোগী ও তাদের সাথে আসা স্বজনরা। নির্বাক করা এই দৃশ্যটি দেখে যে কারো চোখে পানি এসে যাবে। এমনই ঘটনা ঘটেছে দিরাই সরকারি হাসপাতালে।
সরেজমিন দিরাই উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন ভবনের তিন রুম ও বারান্দাসহ ৪০টি বেডে রোগী রয়েছেন। রোগীদের এ সংখ্যা কম-বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় মেঝেতে রোগীদেরকে বেড বিছিয়ে দিতে হয়। তবে বিপত্তি দেখা দিয়েছে রমযান মাসে। হাসপাতাল এলাকায় কোন হোটেল খোলা না থাকায় সেহরির সময় রোগী ও তাদের সাথে থাকা স্বজনরা চিড়া-মুড়ি ও বিস্কুট খেয়ে রোযা রাখতে হচ্ছে। যাদের সাথে পুরুষ আছে, তারা বাজারে গিয়ে ভাত কিনে নিয়ে আসছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের খাবার সরবরাহ করছেনা বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। গত দুই-তিনদিন ধরে ভর্তি একাধিক রোগী ও স্বজনদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সেহরির সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের খাবার দিচ্ছে না। ফলে এক রকম বাধ্য হয়েই সাথে থাকা চিড়া-মুড়ি ও বিস্কুট দিয়ে সেহরির খাবার খাওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইয়াসিন আরাফাত বলেন, আমি এ ব্যাপারে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমাদের কাছে সেহরি খাওয়ানোর জন্য আলাদা কোন বাজেট নেই; এমনকি এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনাও নেই বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সকালের যে নাস্তা দেয়া হয়, সেটিকে বাড়িয়ে সেহরির সময় কোন ধরণের খাবার দেয়া যায় কি না, সেটি বিবেচনা করা হবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বেশি কিছু না করতে পারলেও অন্তত রোগীদের জন্য কি করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা করা হবে।