মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পরিষদের ইমাম হাফিজ ইদ্রিছ আলীর বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্ত চলাকালীন কাগজপত্র পোড়ানের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। তবে এটি ঠিক হয়নি বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার আসরের নামাযের আগে মসজিদের সাবেক ইমাম হাফিজ ইদ্রিস আলী মসজিদের দু’তলায় দক্ষিণের সানসেডের খালি অংশে বিভিন্ন কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেন। দূর থেকে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দেখে ঘটনাস্থলে আসলে তারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি এসে তার সত্যতা পান। ঘটনার জানাজানি হলে সেখানে প্রচুর লোকজন ভীড় করে।
সূত্র আরও জানায়, কিছুদিন আগে বিভিন্ন দুর্নীতি, টাকা আত্মসাৎ ও অন্যায়-অনিয়মের কারণে তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্র-জনতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমাজসেবা অফিসারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার শুনানীর দিন তদন্ত কমিটি উভয়পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ করে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আসরের আগে মসজিদের দু’তলায় কাগজ পোড়ানোর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ কারীরা জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার ভয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে আলামত ধ্বংস করার মতো গুরুতর অপরাধ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, মসজিদের দু’তলায় সাবেক ইমাম হাফিজ ইদ্রিস আলী কাগজপত্র পোড়ানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই পোড়ানো কাগজ ও ধোঁয়া। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এগুলো অতিরিক্ত (ঝুট) কাগজ থাকায় পোড়ানো হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন তিনি কোন ধরণের কাগজপত্র পোড়াতে পারেন কি না-জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত তিনি বলতে পারবেন। তবে তিনি এটা ঠিক হয়নি বলে ক্ষমা চেয়েছেন।