সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য, জেলা জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আনজুমানে তাহাফফুযে দ্বীন সুনামগঞ্জের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর (৫২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাওলানা আব্দুল হাফিজ নামে একজনকে আটক করেছে দিরাই থানা পুলিশ। সে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামের আলিফ পাঠানের ছেলে।
বাদিপক্ষের লোকজন ও দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর রোববার দিবাগত রাতে দিরাই থানায় মরহুমের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর পুলিশ মাওলানা আব্দুল হাফিজকে সিলেট শাহপরান এলাকা থেকে গভীর রাতে আটক করে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার পর থেকে মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সৈয়দা রুবি বেগম শান্তিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং-৯৯) করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে তার লাশ দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের শরিফপুর ইটভাটার পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই থানা পুলিশ। লাশটি ফুলে যাওয়ার কারণে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে তার জিহ্বা বের হওয়ার আলামত সনাক্ত করে। এরপর ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সন্ধানের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। অবশেষে তার লাশ উদ্ধারের পর থেকে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে কঠোর কর্মসূচি হাতে নেয়। কেন্দ্রীয় জমিয়ত রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এছাড়া সিলেট জেলা জমিয়তও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে। সুনামগঞ্জের উলামাদের মাথার মুকুট শায়খুল হাদিস মাওলানা নূরুল ইসলাম খানও এ সকল কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে প্রশাসনকে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। আলিম-উলামা, ছাত্র-জনতাসহ সাধারণ মানুষ মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি সফল করেন।
সূত্র মতে, ৭ সেপ্টেম্বর রোববার দিবাগত রাতে দিরাই থানায় মরহুমের স্ত্রী রুবি বেগম বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সিলেট ও দিরাই থানা পুলিশের সহায়তার খুনিদের অন্যতম সন্দেহভাজন মাওলানা আব্দুল হাফিজকে সিলেট থেকে আটক করা হয়।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা (নং-জি আর ১৪০, ধারা ৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪) দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে একজন আসামী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে আটকের পর সুনামগঞ্জে কোর্টে নেয়ার পর ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।