রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : বাঙালির বিজয়ের বার্ষিকীতে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে ‘স্বাধীনতার উদ্যান’ মুখরিত হলো জাতীয় সংগীতে; আর তাতে কণ্ঠ মেলালো সারা বাংলার ‘কোটি নাগরিক’। চুয়াল্লিশ বছর আগে ঢাকার এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই লেখা হয়েছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে পাকিস্তানি বাহিনী এ উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে, তখন এর নাম ছিল রেস কোর্স ময়দান। বুধবার বিজয় দিবসের বিকেলে ঠিক সেই মুহূর্তটিতে উদ্যানে স্থাপিত ‘বিজয় উৎসব’ মঞ্চের সামনে সমবেত জনতা গাইল ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটিই একাত্তরের রণাঙ্গনে বাঙালি জাতিকে প্রেরণা যুগিয়েছিল, যা পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে গ্রহণ করা হয়। বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-গ্রামসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল আগেই।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বেলা ১১টায় এবারের বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনাগুলো সংরক্ষণেরও দাবি জানান তিনি। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘আমাদের সংস্কৃতি’। বিকেল সাড়ে ৩টায় ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব।
বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে হয় ‘আগামী বাংলাদেশের শপথ’। শপথবাক্য পড়ান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আবদুল গাফফার চৌধুরী। এরপর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন শেষে আতশ বাজির খেলায় ‘বিজয় সন্ধ্যা’ উদযাপনেরও কর্মসূচি রয়েছে। সবশেষে রাত ১০টা পর্যন্ত বিজয় মঞ্চে চলবে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদলের অংশগ্রহণে ‘কনসার্ট ফর ফ্রিডম’।