বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সাংবাদিক সজীবের খোঁজ মেলেনি, থানায় জিডি

সাংবাদিক সজীবের খোঁজ মেলেনি, থানায় জিডি

filelkjআমার সুরমা ডটকম : একটি দৈনিক পত্রিকাসহ কয়েকটি টেলিভিশন স্টেশনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিনিধি আওরঙ্গজেব সজিবকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় সোমবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম।
আজ সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকার সদরঘাট নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল দিনভর মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকার ধলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থান করলেও স্থান নির্ধারণ করতে না পারায় তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে পারেনি। সদরঘাট নৌ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, আজ দিনভর তিনিসহ ডুবুরিদল মুক্তারপুর এলাকার ধলেশ্বরীর তীরে অবস্থান করেছেন। তবে ওই সাংবাদিক কোন স্থানে লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে, তা সনাক্ত করতে না পারায় তল্লাশি কাজ চালানো সম্ভব হয়নি।
জিডিতে বলা হয়েছে, রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে পুরান ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে বের হন সজীব। একই দিনে দুপুরে চাঁদপুরে এমভি তাকওয়া নামের একটি লঞ্চে তার দুটি মোবাইল ফোনসেট ও সাংবাদিক পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। নিখোঁজ সাংবাদিক সজিব (৪৫) বাংলাভিশন, সময়, যমুনা ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন।
তার স্ত্রী মোরশেদা বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে চকবাজারের বাসা থেকে বের হন তার স্বামী। কিন্তু দুপুর দেড়টার দিকে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে জানান, সজিবের দুটি মোবাইল ফোনসেট ও সাংবাদিক পরিচয়পত্র (বাংলাভিশনের) চাঁদপুর নৌ-পুলিশের কাছে রয়েছে। পরে ফোন পেয়ে স্বামীর খোঁজে চাঁদপুর গিয়ে মোরশেদা জানতে পারেন, এমভি তাকওয়া লঞ্চের এক কর্মচারী নৌ-পুলিশের কাছে রোববার বেলা ১টার দিকে সজিবের মোবাইল ফোনসেট ও পরিচয়পত্র জমা দেয়।
“লঞ্চের ওই কর্মচারি পুলিশকে জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরের কাছে এক ব্যক্তি লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু লঞ্চে মোবাইল সেট ও পরিচয়পত্র ছিল,” বলেন নিখোঁজ সাংবাদিকের এই স্ত্রী। তবে লঞ্চ কর্মচারীর এই দাবি সত্য কিনা তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি নৌ-পুলিশ। মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইউনুস হোসেন বলেন, “আশপাশের জেলেসহ অনেককে জিজ্ঞাসা করেছি। কেউ লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে এমন দৃশ্য তারা দেখেননি। “তারপরও ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ আশপাশের এলাকায় খোঁজ-খবর করছে।”
মোরশেদা জানান, নিখোঁজের আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সজিব স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে পুরান ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়া-ধাওয়া করেন। পরে তাদের (স্ত্রী-সন্তান) বাসার কাছে নামিয়ে দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া এক সাংবাদিককে দেখতে টঙ্গী যাচ্ছেন বলে স্ত্রীকে জানান তিনি। এরপর রাতে সজিবের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলেও রোববার ভোরে বাসায় ফিরেছিলেন তিনি। তবে বাসায় ফিরলেও সজিব সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল করে আবার বেরিয়ে যান বলে জানান তার স্ত্রী।
এদিকে নিখোঁজ এই সাংবাদিকের মোটরসাইকেল রোববার সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে বলে জানান হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, “সজিব সব সময় হাসপাতাল ফাঁড়িতে তার মোটর সাইকেল রাখতেন। রোববার সকাল থেকে চাবিসহ মোটরসাইকেলটি ফাঁড়িতে রয়েছে।” এদিকে সজিবের স্ত্রীর জিডির পর পুলিশ তার সন্ধানে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com