মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : চলতি বছর হজে অনিয়মের অভিযোগে আরও ২০ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সৌদি সরকার। অভিযোগ খ-নে কোনো প্রমাণ বা মতামত থাকলে তা আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে বলেছে তারা। ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে গত শনিবার চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে গত ৮ নভেম্বর একই ভাবে ১৬টি এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় সৌদি আরব। এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে চুক্তির বাইরে অন্য বাড়িতে রাখা, একই স্থানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত হজযাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট সময়ের বেশি হোটেলে রেখে অর্থ পরিশোধ না করা, নিয়ম ভেঙে রান্নার ব্যবস্থা করা, আবর্জনা জমা করে রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ কমিটি। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া এজেন্সিগুলো হলো-এনআরবি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা মোনাওয়ারা এয়ার সার্ভিস, মারওয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস, গোল্ডেন হলিডেজ ইন্টারন্যাশনাল, ড্রিম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস ওভারসিজ, খান ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মীমস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড, আলভী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, আল আরাফা ওভারসিজ ও নীড় ট্রাভেলস। এছাড়া রয়েছে-ব্রাইট ট্রাভেলস, আপ রাইট ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড, সিরাজগঞ্জ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, হিডওয়ে ওভারসিজ, আরএস মজুমদার ট্রাভেলস, দিশারী এয়ার সার্ভিস, মীজাব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সার্ভিসেস, দেশ ভ্রমণ লিমিটেড, আৎ তাকওয়া ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও সিদরাত ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ কমিটি এজেন্সিগুলোর ত্রুটি মক্কার মোয়াচ্ছাসার প্রধান ড. রাফাত ইসমাঈল বদর গত ১৫ ডিসেম্বর চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের হজ মিশনকে জানান। মক্কা হজ মিশন ১৭ ডিসেম্বর চিঠিটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠায়। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এজেন্সির নাম ও মোনাজ্জেম (হাজী পাঠানো এজেন্সি) নম্বর উল্লেখ করে অভিযোগ খ-নের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ কিংবা মতামতসহ সব দলিল ই-মেইলে (Gaap270@gmail) পাঠাতে বলেছেন মোয়াচ্ছাসা প্রধান। নির্ধারিত সময়ের পর সৌদি হজ মন্ত্রণালয় কোনো হজ এজেন্সির প্রমাণাদি গ্রহণ করবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর হজ অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশের সর্বমোট হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) ছিল এক লাখ ছয় হাজার ৫৫০ জন। এবার বেসরকারি হজযাত্রী ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিল ৭৮৩টি হজ এজেন্সি। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ প্রশাসনিক দলের পর্যবেক্ষণ ও হজযাত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।