রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জাতীয়পার্টির কো-চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব, নতুন মহাসচিব ইত্যাদি নিয়ে জটিলতা উদ্ভূত হওয়ার পর বৈঠকে বসে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়পার্টির সংসদীয় কমিটি, তা এক ঘণ্টার ব্যবধানে পুরোপুরি দুরকম বলেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম। তবে বৈঠক শেষে প্রথমে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংসদীয় কমিটি এরশাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। আপাতত মহাসচিব বাবলুই আছেন। আর তার ঘণ্টাখানেক পর এরশাদকে পাশে রেখে এই তাজুলই বলেন, স্যারের (এরশাদের) সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সব এমপিরা এরশাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে এমন কথাই বলেছিলেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, সংসদীয় কমিটির সভায় সব এমপিরা এরশাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে বিকেল ৫টার পর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে আবার সংসদের ভেতরের দিকে চলে যান তাজুল ইসলাম। ঘণ্টাখানেক পর তিনি বেরিয়ে আসেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও এবিএম রুহুল আমিনের সঙ্গে। এ সময় সাংবাদিকরা এরশাদের কাছ জানতে চান সংসদীয় কমিটির বৈঠকের বিষয়ে। এরশাদ বলেন, এ বিষয়ে তাজুল কথা বলবে। এরপর তাজুল বলেন, তার আগের বক্তব্যের উল্টো কথা। তিনি বলেন, স্যারের (এরশাদের) সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সব এমপিরা এরশাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। এরশাদের সিদ্ধান্ত বলতে তিনি পার্টির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা ও বাবলুকে হটিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম ঘোষণার কথা বুঝিয়েছেন।
জাতীয়পার্টির সব এমপিদের এরশাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার কথা জানানোন পর তাজুল এরশাদের কাছে জানতে চান, ‘স্যার, আপনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা কি পাল্টাবে?’ জবাবে এরশাদ তাজুলকে বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে অটল আছি। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় বৈঠকে বসে জাতীয়পার্টির সংসদীয় কমিটি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।
উল্লেখ্য, গত পরশু হঠাৎ করেই প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নিজের ছোটভাই জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান এবং উত্তরসূরী ঘোষণা করেন এরশাদ। এরপরই জাতীয়পার্টিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। রওশন এরশাদকে পাল্টাপার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ঘোষণা করা হয়। এরপর আজ বাবলুকে হটিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারে মহাসচিব ঘোষণা করেন এরশাদ।