শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : চাঁদার টাকা না দেয়ায় পুলিশের আগুনে দগ্ধ সেই চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শাহআলী থানাধীন গুদারাঘাটে চাঁদার টাকা না পেয়ে চা দোকানির গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছেন দগ্ধ ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা। রাতেই দগ্ধ চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
শাহআলী থানা পুলিশের দাবি, পুলিশ নয় পুলিশের সোর্সের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্টোভের চুলা পড়ে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এতে বাবুল মাতুব্বর দগ্ধ হন। বাবুল মাতুব্বরের ছেলে রাজু জানান, গুদারাঘাটে কিংশুক বহুমুখী সমিতির গেটের পাশে রাস্তায় বাবুল মাতুব্বরের চা দোকান। চুলা হিসেবে কেরোসিনের স্টোভ ব্যবহার করেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহআলী থানা পুলিশের একটি টহল টিম মাইক্রোবাসে তার দোকানে যায়। রাস্তায় দোকান বসানোর জন্য পুলিশ তার কাছে চাঁদা চায়।
বার্ন ইউনিটে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসা নেয়ার সময় দগ্ধ বাবুল মাতুব্বর চিৎকার করে বলেন, আমি বলি টাকা দেব কেন? এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠি দিয়ে স্টোভের চুলায় আঘাত করে। স্টোভের কেরোসিন ছিটকে তার গায়ে পড়ে আগুন ধরে যায়। দোকানেও আগুন লাগে। এতে তিনি দগ্ধ হন। বাবুলের পুত্রবধূ মনি আক্তার বলেন, যার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার গায়ে পুলিশের পোশাক দেখেছেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গাড়ি নিয়ে চলে যায়। শাহআলী থানার ওসি একেএম শাহীন মণ্ডল বলেন, রাতে থানার সোর্স দেলোয়ার ওই দোকানে যায়। তার সঙ্গে দেলোয়ারের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে স্টোভের চুলা পড়ে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় দেলোয়ার পালিয়ে যায়। আগুনের খবর পেয়ে পরে পুলিশ সেখানে যায়। এর আগে পুলিশ সেখানে চাঁদার টাকা নিতে যায়নি বলে দাবি করেন ওসি।