রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : রাজধানীর ঝব্বু খানম জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেন হত্যার তদন্তে ‘কিছু অগ্রগতি’ হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে হত্যার কারণ এখন পর্যন্ত তাদের কাছেও অজানা।
শিগগিরই হত্যাকারী ধরা পড়বে বলে আশা করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। গত সোমবার সকালে ঝব্বু খানম মসজিদের সিঁড়ি থেকে বিল্লাল হোসেনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যাকারীরা হয়তো নিহত মুয়াজ্জিনের পরিচিত। এর পেছনে আর্থিক সংশ্লিষ্টতাও থাকতে পারে। ওসি আবুল হাসান শুক্রবার বলেন, হত্যার কারণ জানতে এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কাউকে আটক করা হয়নি। তবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। হত্যার কারণ জানা না গেলেও খুব শিগগিরই হত্যাকারী ধরা পড়বে। পুরান ঢাকার ২৪ নম্বর ইসলামপুর রোডের চারতলা একটি ভবনের ওপরের তিনতলাজুড়ে ঝব্বু খানম মসজিদ। নিচতলায় মার্কেট। মসজিদের তৃতীয় তলার একপাশে তিনটি কক্ষ। এর পশ্চিম পাশের কক্ষটিতে থাকতেন বিল্লাল। প্রায় ৩২ বছর ধরে এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন তিনি। গত রোববার রাতে এশার নামাজ শেষে বিল্লাল মসজিদ থেকে বের হয়ে যান। ওই রাতের কোনো এক সময় তিনি মসজিদে ফেরেন। সোমবার ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে সারোয়ার নামে স্থানীয় এক মুসল্লি বিল্লালকে রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়ির ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত বিল্লালের ছেলে মো. ইয়াসিন ।
গত বছর ১৭তম রমজানের ভোরে ঝব্বু খান মসজিদের চতুর্থ তলায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত বিল্লালের বুকের ওপর উঠে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। সেদিন বিল্লাল বেঁচে গেলেও তাঁর সঙ্গে থাকা প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরদিন এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেছিলেন তিনি।