মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে বিশেষ কৌশলে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বহুবার ঘোষিত দুর্নীতি-বিরোধী অবস্থানের পরিপন্থী। এই মন্তব্য করে গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে সরকারকে বিধানটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাজেটে পরোক্ষভাবে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বহুবার ঘোষিত দুর্নীতি-বিরোধী অবস্থানের পরিপন্থী। এই প্রেক্ষিতে জনগণের আস্থা অর্জনে সরকারের উচিত বাজেটে কালো টাকা বৈধতা দেয়ার সুযোগ বাতিল করা।
তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক বিধানের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে সংসদ ও সংসদের বাইরে অর্থমন্ত্রীকে বিভিন্নভাবে অবস্থান গ্রহণ করতে দেখা গেছে। অথচ অনৈতিকতা-বান্ধব এ সুযোগটি আবারো অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। এটি সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সরকারের ঘোষিত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন মনোভাব’ বা বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী। পরস্পরবিরোধী এই অবস্থানের ফলে দেশে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় প্রদানের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের বিব্রতকর দৃষ্টান্ত স্থাপিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের নিজস্ব তথ্য অনুযায়ী, কালো টাকা বৈধ করার এই অব্যাহত সুযোগ রাজস্ব আদায় বা বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে বাস্তবে কখনো অবদান রাখতে পারেনি। অথচ বিশেষ প্রভাবশালী সুবিধাভোগী মহলের অবৈধতাকে প্রশ্রয় দিয়ে সমাজে অনৈতিকভাবে সুরক্ষা দিয়ে সততার চর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। টিআইবি দীর্ঘদিন থেকেই কালো টাকা বৈধ করার সুযোগের বিপক্ষে অ্যাডভোকেসি করে আসছে বলে বিবৃতি দিয়েছে তারা।